‘‘ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা রবিবার সন্ত্রাসী স্টাইলে আমাদের কলেজে হামলা করে। এটা নিয়ে আমাদের মনে ক্ষোভ ছিল। আজ এসে ঝেড়ে গেছি।’’
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর ডেমরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায় কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা লুটপাটও করে।
‘উল্লাস করে’ ফেরার সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কবি নজরুল কলেজের এক শিক্ষার্থী এসব কথা বলেন।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘ওরা ২৫টির বেশি কলেজের শিক্ষার্থীরা রবিবার কবি নজরুল, সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হামলা চালায়। তারা সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলা করে। এটা নিয়ে আমাদের মাঝে ক্ষোভ ছিল। এসে ঝেড়ে গেলাম।’’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘এতেও যদি ওদের শিক্ষা না হয়। পরে যদি আমার আমাদের কলেজে আসে, দেখে নেব।’’
এর আগে, এদিন সকাল ১১টার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। তারা কলেজের সামনে লাগানো গ্লাসসহ কলেজের ভেতরে ভাঙচুর করে, চালায় লুটপাট। টেলিভিশন, চেয়ার, ম্যাস্ট্রেস, কম্পিউটার, শিক্ষার উপকরণ নিয়ে যায়। এ সময় প্রতিরোধ করে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা লুট করা জিনিসপত্র নিয়ে ‘উল্লাস করতে করতে’ বেলা ১টার দিকে ফিরে যায়।
তখন জানতে পারেন, তাদের কয়েকজন সহপাঠী কলেজে আটকা পড়েছে। তারা আবার তাদের উদ্ধারে ফিরে আসতে চায়। তবে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা চলে যায়।
বেলা ১টা ১০ মিনিটের দিকে কলেজের সামনে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনার এত পরে ঘটনাস্থলে এসে তোপের মুখে পড়েন তারা। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের সরে যেতে বলেন। ‘‘তারা পরিস্থিতি দেখবেন, যা করার করবেন’’ বলেও জানান।
তবে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘‘এতক্ষণ কই ছিলেন? আমাদের কতজন ভাই আহত হলো।’’
এদিকে, হামলার ঘটনায় মোল্লা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কলেজের ভেতর আটকে পড়াদের কলেজ প্রশাসন বের করছে। দেখা গেছে, কলেজের দুই শিক্ষক এক শিক্ষার্থীকে কলেজের গেঞ্জি পরিয়ে বের করেন। অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা টের পেয়ে তারা তার ওপর হামলা চালায়। দুই শিক্ষক তাদের কাছে ‘মাফ চান’। পরে ওই শিক্ষার্থীকে একটি রিকশায় করে নিয়ে যান তারা।