আইন ও অপরাধ

‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান’র সংগঠকসহ ১৮ জন কারাগারে

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’র অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন—অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান, সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ, মেহেদী হাসান, রাহাত ইমাম নোমান, মাসুদ, ইব্রাহিম, আলেক ফরাজী, সাইফুল ইসলাম, আবু বক্কর, রিংকু, নিজাম উদ্দিন, সৈয়দ হারুন অর রশিদ, আফজাল মন্ডল, আব্দুর রহিম, নুরনবী, শহিদ ও কোহিনুর আক্তার। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মাহফজুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। তবে, বৃহস্পতিবার শুনানি করার আবেদন করেন তারা। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।

এদিকে, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীন গেপ্তারের পর বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে বলে আদালতকে অবহিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তাকে আদালতে হাজির করতে কাস্টডি ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন তিনি। আদালত সুস্থতা সাপেক্ষে তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষকে নিয়ে সমাবেশ করার চেষ্টা করে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ।

সংগঠনটি সারা দেশে গরিব মানুষগুলোকে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত এনে সেগুলো বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এর বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জনপ্রতি ১ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর হারুন অর রশিদ মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে ২৫ নভেম্বর ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ ব্যানারে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বেআইনিভাবে শাহবাগ মোড়ে এনে দাঙ্গা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায়। আসামিরা শাহবাগ মোড়ে থাকা ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের রোড ডিভাইডার ভেঙে আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করে।