আইন ও অপরাধ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হলো সাবেক মন্ত্রীসহ ১৬ আসামি

জুলাই-অগাস্টের ‘গণহত্যার’ মামলার ১৬ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। 

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের অভিযোগের অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

যাদের হাজির করা হয়েছে তারা হলেন-সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, ফারুক খান, শাহজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আব্দুর রাজ্জাক,দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

এরআগে গত ১৮ নভেম্বর ১৬ জনের মধ্যে ৯ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ওইদিন প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আব্দুর রাজ্জাকের হাজিরা দিন ধার্য থাকলেও টাঙ্গাইলের এক মামলায় রিমান্ডে থাকায় তাকে হাজির করা হয়নি।

গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ অক্টোবর থেকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়।

এর গত ১৯ নভেম্বর গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই ধরনের অভিযোগে ওবায়দুল কাদেরসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যসহ প্রভাবশালী ৪৫ জনের ক্ষেত্রে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে এক মাস সময় দেওয়া হয়।