এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কমিশনের উপপরিচালক মো. আবু সাইদ।
আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বিভিন্ন শাখায় ১২৫ হিসাবসমূহে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক। প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মাণ হয়, সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপনের উদ্দেশ্য এসব হিসাবসমূহে জমা রেখেছেন। যেকোনো সময় এসব অর্থ উত্তোলন করে বিদেশে পাচার বা গোপন করার সম্ভবনা রয়েছে মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হয়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ১২৫টি হিসাবের ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ১৯১ টাকা ফ্রিজ করা প্রয়োজন।
দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম শুনানি করেন।
শুনানি শেষে আদালত ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দেন বল জানান দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাংক ও আর্থিক খাতেও পালাবদলের হাওয়া লাগে। তখন আবারো আলোচনায় আসে এস আলমের নাম; যার বিরুদ্ধে আগের সরকারের সময় ‘প্রভাব’ খাটিয়ে ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের মালিকানায় আসার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশে এস আলম গ্রুপসহ এস আলমের নামে ও বেনামে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির নামে বিপুল ঋণ দেওয়ার অভিযোগ উঠতে থাকে।
সরকার পতনের পরদিনই বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপকে বিতাড়িত করার দাবি ওঠে। এ নিয়ে গোলাগুলির মতো ঘটনাও ঘটে। তার মালিকানাধীন আরেক ব্যাংক এসআইবিএলেও বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।