টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ২৯ জন অনুসারীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলার ৫ নম্বর আসামি মোয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিব ইস্কান্দার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, “বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার পাঁচ নম্বর আসামি মুয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মাওলানা সাদপন্থি বলে আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি।”
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন। মামলা দায়েরের পরপরই রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে মোয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোয়াজ বিন নূর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা। তার বাবা মৃত নুর মোহাম্মদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি শুরু হবে তিন দিনের মূল ইজতেমা। এ উপলক্ষে মাঠ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইজতেমা মাঠে অবস্থান করছিলেন তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। এর মধ্যেই আসামিরা বর্তমান সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে অনুমতি ব্যতীত ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে পাঁচ দিনের জোড় করতে চান। এ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন উসকানি ছড়াচ্ছিলেন। মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সারা দেশের সাদ অনুসারীদের ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠেই জোড় পালনের ঘোষণা দেন। এ উপলক্ষে হাজারো সাদ অনুসারী মুসল্লি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ইজতেমা মাঠের চারপাশে জড়ো হন। ওয়াসিফুল ইসলামের হুকুমে সেদিন (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে হাজারো সাদ অনুসারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইজতেমা মাঠে ঘুমন্ত সাধারণ মুসল্লিদের (জোবায়েরপন্থী) ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে তিনজন নিহত হন।