আইন ও অপরাধ

ছয় লাশ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় নিহত ছয়জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ কনস্টেবল মো. মুকুল চাকদারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আদালত বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামি ২৬ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

শুনানির শুরুতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম মো. মকবুল চাকদারকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ওই মামলায় আসামির কী সম্পৃক্ততা রয়েছে তা আদালতে উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় নিশ্চুপ বসে ছিলেন মুকুল চাকদার।

চলতি বছর ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান চলাকালীন ঢাকার আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও গত ৩০ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে সেখানে আসামি করা হয়।

২৪ ডিসেম্বর এ ঘটনায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরদিন সকালে এস আই মালেককে কিশোরগঞ্জ থেকে এবং কনস্টেবল মুকুল চাকদারকে নবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।