আদালত থেকে জামিন পেয়েই সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছেন শিশুর ভালো চোখে অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসক শাহেদারা বেগম।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালত ডা. শাহেদারা বেগমকে জামিন দেন।
এরপর তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন সাংবাদিকরা তার ছবি তুলতে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। ডা. শাহেদারা বেগমের সঙ্গে থাকা তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও সাংবাদিকদের উদ্দেশে নানা কটূক্তি করতে থাকেন। তারা সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. শাহেদারা বেগমের সঙ্গে থাকা কয়েক ব্যক্তি। তারা দাবি করেন, শাহেদারা বেগমক পরোপকারী চিকিৎসক। মামলাটি ভুয়া বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মাহমুদ হাসানের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল আলম ডা. শাহেদারা বেগমকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আদেশ অপেক্ষমাণ রাখে। পরে আদালত তার জামিনের আদেশ দেন।
মামলায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা অভিযোগ করেছেন, গত মঙ্গলবার তার দেড় বছর বয়সী ছেলে ইরতিজা আরিজ হাসানের ভালো চোখে অস্ত্রোপচার করেছেন ডা. শাহেদারা বেগম। বাম চোখে সমস্যা, অথচ ওই চিকিৎসক ডান চোখে অস্ত্রোপচার করেন।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ইরতিজা আরিজ হাসানের চোখে ময়লা জাতীয় কোনো বস্তুর অস্তিত্ব টের পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু, অস্ত্রোপচারের সময় ঘটে বিপত্তি। দেড় বছর বয়সী শিশুটির বাম চোখের বদলে ডান চোখে অস্ত্রোপচার করেন ডা. শাহেদারা বেগম। পরে দুঃখ প্রকাশ করে আবারও বাম চোখে অস্ত্রোপচার করেন ওই চিকিৎসক।