শীতকাল মানে বাঙালির পিঠা-পুলির উৎসব। শীত মৌসুমে ঘরে ঘরে তৈরি হয় আবহমান বাংলার মিষ্টি পিঠা। আর মিষ্টি পিঠা মানেই নলেন গুড় লাগবেই-লাগবে!
নলেন গুড় আসলে খেজুর গুড়। এই গুড় খেজুরের রস থেকে তৈরি করা হয়। সাধারণত জানুয়ারি মাসের শুরুর দিক থেকে এই গুড় পাওয়া যায়। নলেন শব্দটির উৎস কি এই নিয়ে নানা মত আছে। কেউ কেউ বলে থাকেন, খেজুর গাছের গায়ে নল কেটে এই গুড় সংগ্রহ করা হয়ে থাকে বলে একে নলেন গুড় বলা হয়।
নলেন গুড় দুই রকমের হয়ে থাকে। ঝোলা তরল জাতীয় এবং শক্ত পাটালি। এই গুড়ের সে যে কী স্বাদ, তা একমাত্র বাঙালিরাই জানেন। সমস্যা হচ্ছে, আসল নলেন গুড়ের পাশাপাশি বাজারে রয়েছে অধিক রাসায়নিক আর রং মিশ্রিত গুড়। চোখ-কান খোলা রেখে এই গুড় কেনা চাই, নাহলে ঠকতে হবে। জেনে নিন আসল নলেন গুড় চেনার চার উপায়।
নলেন গুড়ে নোনতা স্বাদ থাকে না: নলেন গুড় কেনার আগে চেখে-দেখে নেওয়ার সুযোগ যদি থাকে তাহলে অল্প করে একটু মুখে দিন। গুড়ে নোনতা স্বাদ থাকলে বুঝতে হবে এটি নলেন গুড় নয়।
নলেন গুড়ের পাটালি অল্পতেই ভেঙে পড়ে: নলেন গুড়ের পাটালি চেনার সহজ উপায় হলো এতে হালকা চাপ দিলে তা ভেঙে পড়ে। আলতো করে আঙুলের চাপে যদি গুড় ভেঙে যায়, তবে বুঝে নিতে পারেন এটি খাঁটি নলেন গুড়। আর গুড় যদি শক্ত হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ঠকার ঝুঁকিই থাকে।
সুগন্ধ পাওয়া যায়: নলেন গুড় গন্ধে মন জুড়িয়ে দেয় এটা সত্যি। কিন্তু জানেন তো, সুগন্ধের জন্য গুড়ে নানা রাসায়নিক মেশানো হয়। সে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে।
নলেন গুড়ের রং বাদামি: সাধারণত এই গুড়ের রং গাঢ় বাদামি হয়ে থাকে। দেখতে অনেকটা হলদেটে রঙের হলে বুঝে নিতে হবে গুড়ে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো হয়েছে।
রসে তৈরি দানা, ঝোলা ও নলেন গুড়ের স্বাদ ও ঘ্রাণই আলাদা। নলেন গুড়ের দু’রকমের হয়ে থাকে৷ ঝোলা তরল জাতীয় এবং শক্ত পাটালি। সে যে কী স্বাদ, তা বাঙালিরা খুব ভালোভাবেই জানেন।