রাস্তাঘাটে অযাচিত স্পর্শ বা যৌন হয়রানির শিকার হলে চুপচাপ মেনে নেওয়া উচিত নয়। যৌন হয়রানির হার রীতিমত ভয়ংকর। বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইডের জরিপে দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেওয়া নারীদের ৮৪ শতাংশ জনসমাগমস্থলে অশালীন মন্তব্য শুনেছেন। এদের অর্ধেকের বেশি নারী গণ পরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
পুলিশের পরামর্শ: এমন পরিস্থিতির শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রতিবাদ হওয়া উচিত। এবং উচ্চস্বরে প্রতিবাদ করা উচিত। এতে দায়ী ব্যক্তি দ্বিতীয়বার এমন আচরণ করার সাহস করবে না। তাছাড়া উচ্চস্বরে প্রতিবাদ করলে প্রত্যক্ষদর্শী তৈরিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আইনি সহায়তা সহজ করার জন্য প্রতিবাদ বা চিৎকার করে আশপাশের মানুষকে ঘটনায় সম্পৃক্ত করা উচিত।
রাস্তাঘাটে যৌন হয়রানি মোকাবিলায় দশটি দিক মনে রাখুন:
চিৎকার দেওয়া ও প্রতিবাদ করা।
ঘটনাস্থলের লোকজনকে সম্পৃক্ত করা।
দ্রুত নিকটস্থ থানায় যাওয়া।
সম্ভব হলে প্রত্যক্ষদর্শী কাউকে সাথে নিয়ে থানায় যাওয়া।
সম্ভব হলে ছবি তুলে বা ভিডিও করে তা পুলিশকে দেওয়া।
নির্জন স্থানে হেনস্থার শিকার হলে নিজের নিরাপত্তাকে সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া।
নিজের বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করা।
কেউ আক্রমণ করলে তাকে শক্তভাবে প্রতিহত করা।
শারীরিক ও মানসিক ভাবে শক্ত-সামর্থ্য হওয়ার চেষ্টা করা।
পরিবারকে তাদের কন্যাদের শারীরিকভাবে শক্তিশালী হতে সাহায্য করা।
তথ্যসূত্র: বিবিসি