লাইফস্টাইল

অনলাইন কেনাকাটায় ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

ঈদের শপিং হতে পারে অনলাইনেই। ঘরে বসেই পেতে পারেন পছন্দের পণ্যটি। কিন্তু ঝুঁকিও আছে। যেহেতু পণ্যটি নির্বাচন করতে হয় ছবি দেখে  সুতরাং এটি হওয়া চাই ছবির মতোই সুন্দর। পছন্দ না হলে ফেরত দেওয়ার সুযোগও থাকা চাই। বেশ কিছু দিক খেয়াল রেখে অনলাইনে কেনাকাটা করুন, ঝুঁকি এড়িয়ে যান।

এক. ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনতে হলে শুরুতে খেয়াল করুন 'http' এর সঙ্গে 's'আছে নাকি নেই। যদি না থাকে তাহলে ওই ওয়েবসাইটটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা আছে।  ওয়েবসাইটটের পূর্ণ ডোমেইন নেম খেয়াল করতে হবে।  WWW. এর পরে কোনো একটি নাম এবং শেষে .COM থাকবে। ওয়েবসাইটটি কোনো র‍্যানডম নম্বর দিয়ে শুরু হবে না।

দুই. ছাড়ে কেনাকাটায় সর্তকতা: অনলাইনে কেনাকাটায় অতিরিক্ত ছাড়, বাজার মূল্যের থেকে কম মূল্যে পণ্য অফার করলে তা না কেনা ভালো। এ ছাড়া ক্যাশব্যাক এবং সীমিত সময়ের জন্য অফার এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। অনেক প্রতিষ্ঠান এরকম সুযোগ, সুবিধা প্রথমে দেয় তারপর ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করে সব শেষে বিপুল পরিমাণে টাকা হাতিয়ে নেয়।

তিন. অনলাইনে পণ্য অর্ডার করার সময় এর মাপ, ওজন এবং ম্যাটেরিয়ালস সম্পর্কে, জেনে বুঝে পণ্যটি অর্ডার করবেন।

চার. অনেক সময় অনলাইনে কেনাকাটার পরে দেখা যায় পণ্যটি মনের মতো নয়। সেক্ষেত্রে ফেরত দেওয়ার সুযোগ না থাকলে কিছুই করতে পারবেন না। সুতরাং প্রতিষ্ঠানটির রিটার্ন এবং রিফান্ড পলিসি কেমন সেটা জেনে কেনাকাটা করুন।

পাঁচ. অনলাইন কেনাকাটার ওয়েবসাইটগুলোতে গ্রাহকের রিভিউগুলো দেখে নেবেন। সেক্ষেত্রে রিভিউগুলো ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে করা কিনা যাচাই করুন।

ছয়. অনলাইনের কেনা-কাটায়  'ক্যাশ অন ডেলিভারি'র সুবিধা থাকলে সেটা গ্রহণ করুন। এতে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কম। পণ্য হাতে পেয়ে দেখে-শুনে তারপর অর্থ পরিশোধ করলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

সাত. ফেসবুক পেইজ থেকে পণ্য কিনতে হলে গ্রাহক রিভিউ দেখে নেওয়া জরুরি। পরিচিত কারও রিভিউ দেখলে বেশি আশ্বস্ত হওয়ার সুযোগ থাকে।

উল্লেখ্য, ফেসবুক পেইজ থেকে কেনাকাটার সময় খেয়াল করুন পেইজটি কতদিন আগে খোলা হয়েছে। অর্ডার নিয়ে এরা লাপাত্তা হয়ে যেতে পারে। তবে ফেসবুক পেইজ থেকে যদি লাইভ করা হয়, সেটি ভুয়া না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।