লাইফস্টাইল

যেসব নিয়ম মানলে রান্নাঘর জীবাণুমুক্ত থাকবে

ঈদে তেল, মশলাদার রান্না বেশি হয়। এই সময়ে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা জরুরি। তাছাড়া এখন গ্রীষ্মকাল, তাপমাত্রা দিনকে দিন বাড়ছে। এই সময় স্বাস্থ্যের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া দরকার। জীবাণুমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা জরুরি। রান্নাঘর জীবাণুমুক্ত রাখতে করণীয়। 

চুলা পরিষ্কার করার সময় স্ক্রাব ব্রাশ এবং স্ক্রাবিং প্যাড ব্যবহার করবেন না। কারণ গ্যাসের চুলা খুব সাবধানে পরিষ্কার করা উচিত। চুলা পরিষ্কার করার জন্য -একটি নরম স্পঞ্জ, মাইক্রোফাইবার কাপড় বা নরম ন্যাকড়া ব্যবহার করুন। চুলার তেল-মশলা লেগে যাওয়া জায়গাগুলোতে ক্লিনার ছড়িয়ে দিন। তারপর ভেজা স্পঞ্জ অথবা কাপড় দিয়ে অল্প ঘষে- মুছে ফেলুন।

রান্নাঘরের সিঙ্ক পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে গরম পানি দিয়ে সিঙ্কটি ভালোভাবে ভিজিয়ে নিন। এরপর বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিয়ে পনেরো মিনিট অপেক্ষা করুন। আবার গরম পানি ঢেলে দিন। এবার সাবান-পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

বঁটি বা ছুরি দিয়ে সবজি কাটা হয় বা মাছ-মাংস কাটাকাটি করা হয়; এ সময় মাছ, মাংস থেকে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই মাছ-মাংস কাটা- ধোয়ার পরে বঁটি-ছুরি ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। 

বাসন ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। তারপর এগুলো ব্যবহার করার সময় বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

অপরিষ্কার বাসন দীর্ঘ সময় জমিয়ে রাখবেন না। 

চিনামাটি বা কাচের প্লেট-বাসন ধোয়ার সময় লিকুইডের সঙ্গে একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।

স্টিলের বাসন ধোয়ার আগে গরম পানিতে কিছু সময়ের জন্য ভিজিয়ে রেখে সহজে পরিষ্কার করতে পারেন।

কাঠের বাসন-কোসন ধোয়ার ক্ষেত্রে বেকিং সোডার সঙ্গে লবণ ও লেবু ব্যবহার করুন।

যেকোন বাসন মিট-শেলফ এ তুলে রাখার আগে ভালোভাবে শুকিয়ে নেবেন।

রান্নাঘরের বিভিন্ন তাক ও ড্রয়ারগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন। 

লবণ ফুরিয়ে এলে পাত্রটি ধুয়ে শুকিয়ে তারপর আবার লবণ রাখুন।

রান্নাঘরের জিনিসপত্রগুলো ভাগে ভাগে রাখুন। প্রত্যেকটি জিনিসরাখার জায়গা নির্ধারণ করুন। যেন কোনোকিছু খুঁজে পেতে আপনাকে হয়রান হতে না হয়।

রান্নাঘরের দেয়ালে ঝুল জমতে দেবেন না।

রান্নাঘরে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে ভালো।