তীব্র রোদের দিনে সানস্ক্রিনের কদর বেড়ে যায়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির নেতিবাচক প্রভাব থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয় এই প্রসাধনী । তবে কোন সানস্ক্রিন ত্বকে কতটুকু সুরক্ষা দেবে তা নির্ভর করে সানস্ক্রিনে থাকা এসপিএফ ফ্যাক্টরের ওপর।
চিকিৎসকেরা বলেন, সানস্ক্রিন সামগ্রীতে সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর কমপক্ষে (এসপিএফ) ৩০ থাকা প্রয়োজন। এসপিএফ-এর অর্থ হচ্ছে ‘সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর’। সানস্ক্রিনসামগ্রীতে পিএ শব্দের পর যত বেশি + চিহ্ন দেওয়া থাকে, তত বেশি সুরক্ষা দেয়।
এসপিএফ ৫০- সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে ৯৪.৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। অন্যদিকে এসপিএফ ৩০ সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে ৯২ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। যা প্রায় কাছাকাছি।
রূপ বিশেষজ্ঞরা বলেন, জেল বেস্ড সানস্ক্রিন ব্যবহার করা সব থেকে ভালো। যাদের বয়স কম তাদের জন্য মিনারেল-ভিত্তিক সানস্ক্রিন নিরাপদ।
সানস্ক্রিন ব্যবহারের ভালো দিক: সানস্ক্রিন ত্বকে ট্যান পড়তে দেয় না। এই ক্রিম সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি ইউভিএ এবং ইউভিবি-র ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করার নিয়ম
এক. সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন।
দুই. শুধুমাত্র মুখে নয় পুরো শরীরের খোলা অংশে সানস্ক্রিন লাগানো জরুরি।
তিন. রান্না করার সময়ে আগুনের তাপ থেকে সুরক্ষা পেতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
চার. সানস্ক্রিন মেখে টানা দুই ঘণ্টার বেশি রোদে থাকতে হলে ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিয়ে আবার সানস্ক্রিন মাখতে হবে।
পাঁচ. বাড়ি থেকে বের হওয়ার আধা ঘণ্টা আগেই সানস্ক্রিন মেখে নিন। তা হলে তা ত্বকে ভালো ভাবে মিশে যাবে।
উল্লেখ্য, সব সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ভালো নয়। দিনে সানস্ক্রিন ছাড়াই কমপক্ষে ১৫ মিনিট রোদে থাকুন।
তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি অবলম্বণে