কোনো কোনো দিন আমাদের চুপচাপ বসে থাকতে ইচ্ছা করে। আসলে মনের স্বাস্থ্য খারাপ থাকলে এমনটা হয়। একটি কাজ মন ভালোা করে দিতে পারে।
মনোবিদরা বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই মন ভালো করার একটা উপায় হচ্ছে ব্যায়াম করা। কারণ ব্যায়াম করার সঙ্গে মানসিক সুস্থতার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। তা ছাড়া ব্যায়াম হচ্ছে চার্জের মতো। একটি ফোনে যখন ফুল চার্জ থাকে তখন দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ওই ফোনটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। আবার ফোনের চার্জ যখন ফিফটি পার্সেন্ট থাকে তখন খুব দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যায়। ব্যায়াম করলে ব্রেইনে শক্তি সঞ্চয় হয়। এতে আমরা অনেক সময় পর্যন্ত ক্লান্তিহীন কাজ করতে পারি। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করে ব্রেইনকে সতেজ রাখা যায় এতে মনের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মন খারাপের প্রবণতাও কমে আসে।
মনোবিদ ডা. কুশল বলেন, ব্যায়াম করার ফলে বিডিএনফ নামের একটি হরমোন নির্গত হয়। এটা নতুন ‘ব্রেইন সেল’তৈরিতে ভূমিকা রাখে। এবং ব্রেইনের যে সেলগুলো পুরনো বা নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলোকে সারিয়ে তোলে বা রিজেনারেট করে। এর ফলে মুড ভালো হয়, এনার্জি ভালো হয় এবং মনোযোগ বাড়ে। ব্যায়ামের উপকারিতা শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক নয়, দীর্ঘ সময়ের জন্য এর প্রভাব আমাদের মন ও শরীরে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। আমাদের ব্রেইনের এরিয়াটার ভলিউম বড় তাই আমরা যখন এক্সারসাইজ করি তখন সেটি বেশি চার্জ বা শক্তি সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। এর ফলে আমরা অনেক সময় ক্লান্তি ছাড়াই কাজ করে যেতে পারি।
নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস যেভাবে গড়ে তুলতে পারেন
প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ মিনিট ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেন। মনে রাখতে হবে কোনো কিছু না করার থেকে কিছু করা ভালো। ব্যায়াম করাটা আনন্দের অভ্যাসে পরিণত করুন। সেজন্য আপনি কারও সঙ্গে ব্যায়াম করতে পারেন। গ্রুপেও ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
মনে রাখা দরকার, ব্যায়াম করে সব ধরনের হতাশা দূর করা যায় না। তবে মাইল্ড টু মডারেট ডিপ্রেশন দূর হয়। সিভিয়ার ডিপ্রেশন বা বড় ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা দিলে ওষুধ সেবনের প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে মনোবিদের পরামর্শ গ্রহণ করা ভালো।