লাইফস্টাইল

মডেল এফার রূপ রুটিন

মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘মিস্টার অ্যান্ড মিস সেলিব্রিটি ইন্টারন্যাশনাল ২০২৩’  এ অংশ নিয়ে ২৯টি দেশের ৬০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছিলেন এফা তাবাসসুম। ফ্যাশন মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তিনি। রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে এফা জানিয়েছে তার রূপ রুটিন।

প্রথমেই আসা যাক তার ডায়েট প্রসঙ্গে। এফা বলেন, টিন এজ পার করার পর থেকেই আমি দুই ঘণ্টা পর পর খাবার খাই। যার ফলে খাবারটা ভালোভাবে হজম হয়। একবারে বেশি খাবার খাই না। কারণ দুই ঘণ্টা পর পর অল্প পরিমাণে খেলে শরীরে চর্বি জমতে পারে না। 

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে এবং ত্বকের যত্ন নিশ্চিত করতে এমন ডায়েটের পাশাপাশি তিনি নাকি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করেন। আর নিয়মিত রূপচর্চায় হারবাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। রূপ রুটিনের অংশ হিসেবে প্রতিদিন সকালে ফেসওয়াস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেন তিনি। এরপরে ত্বকে বেবি লোশন মেখে নেন। ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখার জন্য এই পদ্ধতিকে নিরাপদ মনে করেন এফা। 

বেবি লোশন ব্যবহারের কারণ হিসেবে এফা বলেন, বেবি লোশনে প্যারাফিন থাকে না। ফলে স্কিনের ক্ষতি হয় না। এতে ত্বক নরম আর কোমলও থাকে। ত্বকে বেবি লোশন মাখার পরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন এফা। ঘরে থাকলেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না। 

তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয় সকালে ফ্রেশ হওয়ার পরে সবারই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। রোদ্রের তাপতো এমন না যে শুধু বাইরে গেলেই ত্বকের ক্ষতি করে। ঘরে থাকলেও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এজন্য বাসায়ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করি।

চোখ সাজানোর ক্ষেত্রে উইং লাইনার পছন্দ করেন এফা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেকেন্ড লাইন উইংয়ে চোখ সাজাতে দেখা যায় তাকে। এই সাজকে এফার সিগনেচার সাজও বলা যায়। এ চাড়া চোখ একেবারে ন্যুড রাখেন তিনি।

ঠোঁট সাজানোর ক্ষেত্রেও তার নিজস্ব ভাবনা রয়েছে। এফা বলেন, ঠোঁট সাজানোর ক্ষেত্রে একসঙ্গে তিনটি ন্যুড শেড ব্যবহার করি। এর মধ্যে ডার্ক ন্যুড, লাইট ন্যুড এবং হালকা বেইজ ন্যুড শেড থাকে। 

একেবারে সিল্কি চুল পছন্দ এফার।  তিনি বলেন, চুল একেবারে স্ট্রেইট হয়ে পড়ে থাকবে, নয়তো হাই স্লিক বান থাকবে।

পোশাকের মধ্যে শাড়ি বেশি পছন্দ তার। এফার প্রিয় রং বেইস পিঙ্ক এবং পার্পেল। গয়নার মধ্যে কানের দুল সবথেকে বেশি পছন্দ করেন এবং ব্যবহার করেন। নিয়মিত ঘড়ি ব্যবহার করেন তিনি। তবে গলার গয়না তেমন পছন্দ নয় এফার।

এফা মনে করেন ফিট এবং সুন্দর থাকার জন্য শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি মনের যত্ন নেওয়া জরুরি। মন ভালো রাখার জন্য ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন এফা। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য নাকি তার মন মুহূর্তেই ভালো করে দিতে পারে।