অনেকেই ধূসর রং আড়াল করার জন্য চুলে রং করেন। কেউ কেউ মনের রং অথবা জামাকাপড়ের রঙের সঙ্গে চুরের রং মিলিয়ে নিতে চান। যাইহোক, চুল রং করার বা রঙিন করার পেছনে কোনো কোনো দারুণ ভাবনা কাজ করে। অনেকেই চুল রং করার পরে পছন্দসই শেড পেয়ে যান। এরপরেই শুরু হয় বিপত্তি। তারা অভিযোগ করতে শুরু করেন যে, চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ছে, চুল পড়ে যাচ্ছে; ভেঙে যাচ্ছে। সত্যিকার অর্থে রঙিন চুলের জন্য প্রয়োজন প্রচুর ভালোবাসা, সময় আর সঠিক যত্ন। মানে রঙিন চুলের যত্নে আপনাকে একটি রুটিন মেনে চলতে হবে।
রঙিন চুলের যত্ন যা যা করা যাবে না— সেই বিষয়ে ডা. ব্লসম কোচারের পরামর্শ জেনে নিন।
ওভার ওয়াশিং: খুব ঘন ঘন রঙিন চুল ধুয়ে নিলে প্রাকৃতিক তেল এবং চুলের রং নষ্ট হতে পারে। সুতরাং প্রতিদিন চুল ধুয়ে নেবেন না।
গরম পানি ব্যবহার করা: গোসলে গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের কিউটিকল খুলে যায়। ফলে রঙের অণু বেরিয়ে আসে। কিউটিকল ধরে রাখতে এবং চুলের রং ঠিক রাখতে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন।
হিট স্টাইলিং সরঞ্জাম: চুল নানা ভাবে সাজাতে অনেকে হিট স্টাইলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে এবং রং বিবর্ণ হতে পারে।
সালফেট সহ পণ্য ব্যবহার করা: শ্যাম্পুতে থাকা সালফেট রঙিন চুলের জন্য ক্ষতিকর। সালফেট সমৃদ্ধ শ্যাম্পু চুলে ব্যবহার করলে রঙের পাশাপাশি আর্দ্রতাও নষ্ট হয়। সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।
রঙিন চুলের যত্ন যা যা করবেন— সেই বিষয়ে ডা. ব্লসম কোচারের পরামর্শ জেনে নিন।
রঙিন চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি যেসব শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো বেছে নিতে পারেন।
চুলে পুষ্টির যোগান দিতে নিয়মিত লিভ ইন শ্যাম্পু এবং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।
সুইমিংপুলে সাঁতার কাটার আগে চুল পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন অথবা সুইমিং ক্যাপ পরে নিন।
নরম, কোমল, ঝলমলে রাখার জন্য চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্র: হেলথ শর্টস