দুধ চা, মালাই চা, পনির চা, উটের দুধের চা, মরিচের চা— এমন অনেক রকম চা পান করার অভিজ্ঞতা হয়তো আপনার আছে কিন্তু বালি চা পান করেছেন কি? নাম শুনেই ভয় পাবেন না। যারা বালি চা পান করেছেন তারা জানেন, বালি চা হচ্ছে বালিতে গরম করা চা। যার আরেক নাম টার্কিশ চা।
শেরপুর জেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে টার্কিশ চা। প্রতিদিন এই চা পান করতে ভিড় করেন অনেক মানুষ। জেলা শহরের চকবাজার রোডে অবস্থিত শাহী স্নাকস এন্ড ক্যাফে। দোকান পরিচালনা করেন আবুল বাশার এবং তার ছেলে।
বাশারের টার্কিশ চায়ের বিশেষত্ব হলো বালিতে গরম করে বানানো হয়। প্রথমে একটি ছড়ানো লোহার টিনের ওপর বালি গরম করে নেওয়া হয়। এরপর বড় কাঁসার পাত্রে দুধ, চা পাতাসহ নানা উপকরণ মিশিয়ে ফুটানো হয় বালুর তাপে। পরে মাটির পাত্রে চা পরিবেশন করা হয়। প্রতি কাপ টার্কিশ চায়ের দাম ৩০ টাকা।
প্রায় দুই বছর আগে এই ব্যবসা শুরু করেন আবুল বাশার। আবুল বাশার নানা জায়গায় এই ধরনের চা বানানো দেখে সিদ্ধান্ত নেয় নিজেই বিক্রি করবেন এমন চা। এরপর থেকেই ব্যবসা শুরু তার।
চা পান করতে এসে নুশান রাইজিংবিডিকে জানান, বিকেলে প্রায়ই এখানে চা খেতে আসি।
বিক্রেতা আবুল বাশার বলেন, অনেকটা শখ থেকেই আমার এই ব্যবসা শুরু। আলহামদুলিল্লাহ, বিক্রি বেশ ভালো হয়। অনেকেই বার বার এই চা পান করতে আসেন। আমাদের দোকানে নানান পিঠাও পাওয়া যায় যা আমরা ঘরেই প্রস্তুত করি তাই সেসবের চাহিদাও রয়েছে।
বাশারের দোকানে আরও পাওয়া যায়, মমো( প্রতি প্লেট ১১০টাকা), ডিম সুন্দরী (২০টাকা), দুধ চিতই (৫০টাকা), ভাপা পিঠা (২০টাকা), রসভারি (৩০টাকা), পুলি পিঠা (১০টাকা), পাকন পিঠা (২০টাকা), তেলের পিঠা (১০টাকা), কাবাব (১০টাকা)।