চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রান্না দুরুস কুরা। এই রান্নাতে বাটা মশলা বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রইলো ‘দুরুস কুরা’ রেসিপি।
প্রথম ধাপ: একটি মাঝারি আকারের মুরগি চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর মুরগির গায়ে সামান্য লবণ মেখে কিছু সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: একটি স্পেশাল মশলা তৈরি করে নিতে হবে। এজন্য লাগবে— জয়ফলের গুঁড়া আধা চা চামচ, একটি জয়ত্রির অর্ধেক অংশ, সাদা গোল মরিচ ২০টি, এক টুকরো দারচিনি, একটি কালো এলাচ এবং সাদা এলাচ পাঁচটি; এই সবকিছু একসঙ্গে বেটে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ:এবার এক টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা, দুইটি পেঁয়াজ বাটা, তিনটি কাঁচা মরিচ বাটা, সামান্য পরিমাণ হলুদের গুঁড়া, আধা চা চামচ লাল মরিচের গুঁড়া, এক চা চামচ জিরা বাটা, এক চা চামচ ধনিয়া বাটা, এক টেবিল চামচ নারিকেল বাটা, পোস্তদানা বাটা এক টেবিল চামচ, চীনাবাদাম বাটা দুই টেবিল চামচ, সামান্য তেল এবং যে মশলা বেটে রাখা হয়েছে সেগুলো একত্রে মেখে নিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ: একটি কড়াইতে মুরগি নিয়ে এর সঙ্গে খুব ভালোভাবে মশলা মেখে দিতে হবে। মুরগির পেটের ভেতরেও মশলা মাখতে হবে। এক কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে কড়াই ঢেকে জ্বাল দিতে হবে। বলক আসার পরে চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রান্না করে নিতে হবে। মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ: আধা কাপ গুঁড়া দুধ বা জ্বাল দেওয়া গরুর দুধ পরিমাণমতো পানিতে গুলিয়ে এর মধ্যে আধা চা চামচ চিনি মিশিয়ে কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। মুরগি সিদ্ধ হয়ে এলে বাগাড় দিতে হবে।
শেষ ধাপ: বাগাড় দেওয়ার জন্য একটি প্যানে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিন। এতে আধা কাপ পেঁয়াজ কুচি গোল্ডেন ব্রাউন করে বেরেস্তা করে নিতে হবে। অল্প পরিমাণে বেরেস্তা আলাদা করে তুলে রাখতে হবে। বাকিটা তেলসহ চিকেনের কড়াইতে দিয়ে দিতে হবে। এ পর্যায়ে সামান্য পরিমাণ ঘি চিকেনের ওপর ছড়িয়ে দিয়ে পাঁচ মিনিটের মতো দমে রাখতে হবে।
পরিবেশন করার সময় তুলে রাখা পেঁয়াজ বেরেস্তা চিকেনের ওপর ছড়িয়ে দিতে হবে।