লাইফস্টাইল

ব্রেকআপের পর যে প্রশ্নগুলো নিজেকে করা দরকার

ব্রেকআপ হয়ে গেলে অনেক সময় সেটা মোকাবিলা করার মতো সাহস বা কৌশল অনেকে খুঁজে পান না। যে কারণে অনেক বেশি অস্থিরতায় ভুগতে শুরু করেন। এ পর্যায়ে কী করণীয়— জানাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. রাইসুল ইসলাম পরাগ। তিনি বলেন, ‘ব্রেকআপটা হয়তো আপনার কারণে হয়েছে, নয়তো আপনার সঙ্গীর কারণে হয়েছে। প্রথমত আপনি কারণটা একটু খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। যদি দেখেন, আপনার সঙ্গী আপনাকে পর্যাপ্ত সময় দিতো না, কমিটেড ছিলো না, সুসময়ের বন্ধু ছিল, দুঃসময় আপনার কাছে থাকেনি, বিশ্বস্ততা বজায় রাখতে পারেনি, অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল, বা খুব বেশি রাগারাগি হতো ইত্যাদি নানা কারণে ব্রেকআপটা হয়ে গেছে; তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন কারণগুলো যদি দুইজনের সম্পর্কের মধ্যে আরও বাড়তে থাকতো তাহলে কী হতো? এই সম্পর্ক বা এই মানুষটাকে নিয়ে কী আপনি বাকি জীবনটা ভালোভাবে কাটাতে পারতেন? পারতেন না।’

‘সবকিছু জেনে বুঝেও আপনার অস্থিরতা বাড়তে পারে। আপনি এ পর্যায়ে একটু সময় নেন। অনেকে মনে করেন, সম্পর্কটা ভেঙে গেছে আমার এখনই একজন জীবনসঙ্গী চাই— এটা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা। এ সময় আপনি বরং নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। আপনি একজন বন্ধুকে খুঁজে বের করতে পারেন, একজন পরিবারের সদস্যকে খুঁজে বের করতে পারেন তার সঙ্গে আপনি বিষয়গুলো শেয়ার করুন, অনেকটা হালকা লাগবে।’ যোগ করেন ডা. মো. রাইসুল ইসলাম পরাগ।

এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ—

যেসব বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছিল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

যেসব অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতেন সেগুলোতে যেতে পারেন। 

হেয়ার স্টাইল পরিবর্তন করতে পারেন।

একটু অন্যভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন।

এমন পরিস্থিতিতে ‘বর্তমানে’ থাকুন। 

মনোযোগ বাড়ান। ধরুন এক কাপ চা খাচ্ছেন, সেটার রং কেমন, গন্ধ কেমন; এসবকিছু মনোযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে পারেন। 

সুন্দর কোনো দৃশ্য কল্পনা করতে পারেন। 

পরিবার, সমাজ, নিজের মন, শরীর, সুবিধা, অসুবিধা সব মিলিয়ে আপনার জীবন। আপনি কেন একটি সমস্যার কারণে বাকি সবগুলোকে অবহেলা করবেন? 

যার সঙ্গে বার বার দেখতে ইচ্ছা করে তাকে সব দিক থেকে দেখা বন্ধ করে দিন। 

যে হৃদয়ে অনেক বেশি যন্ত্রণা সেই হৃদয়কে ধীরে ধীরে সুন্দর পর্যায়ের দিকে নিয়ে যেতে হলে আবেগ মাইন্ড ফুলনেস প্র্যাকটিস করুন।