লাইফস্টাইল

সেমি বলাকা সিল্ক শাড়িই আর্ট সিল্ক

যেকোন ঋতুতে পরার উপযোগী শাড়ি সেমি বলাকা সিল্ক। উৎসব কিংবা অফিস আউটফিট হিসেবেও মানানসই। সেমি বলাকা শাড়ির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। অনেক ফ্যাশন ডিজাইনার এক রংয়ের সেমি বলাকা সিল্ক শাড়ির জমিনে বিভিন্ন ভ্যালু এড করছে। ফলে এই শাড়িতে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নকশা। বিশেষ করে হাতের কাজ করা সেমি বলাকা শাড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এই ধরনের শাড়ি সাধারণত প্রিমিয়াম কোয়ালিটির হয়ে থাকে।

M & N এবং Closet by M&N-এর স্বত্বাধিকারী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সেমি বলাকা ‘সিল্ক’ নামে পরিচিত। এই শাড়িকে অনেকে পলিশ বা আর্ট সিল্ক বলে থাকেন। নাম যেটাই বলেন না কেন, এটা সম্পূর্ণ সিন্থেটিক শাড়ি। সেমি বলাকা সিল্ক শাড়ি পাওয়ারলুমে তৈরি হয়। ফলে কম সময়ে বেশি শাড়ি উৎপাদন করা সম্ভব। এ কারণে সেমি বলাকা শাড়ির দাম তুলনামূলক অনেক কম হয়। পিওর সিল্ক বা বলাকা সিল্ক এই দামে পাওয়া সম্ভব না।’ 

নাসরিন আক্তার আরও বলেন, ‘আমি এই শাড়িগুলোতে হাতের কাজ যোগ করি। তবে এখানেও কোয়ালিটির একটা বিষয় আছে। এই সেমি বলাকার কয়েক রকম কোয়ালিটি আছে। আমি যেহেতু সুঁই-সুতার কাজ করাই প্রিমিয়াম কোয়ালিটিরটাতেই করি। কারণ কোয়ালিটি খারাপ হলে সেলাইটা ঠিক মতো করা যায় না। সবমিলিয়ে প্রাইস আসলে ডিপেন্ড করে কোন কাজ কোন ডিজাইন করছি। তবে মোটামুটি রিজেনেবল থাকে। ’

এই ডিজাইনার আরও বলেন, ‘সেমি বলাকা শাড়ি যেকোন নরমাল প্রোগ্রাম, অফিস কিংবা বিয়ের অুনষ্ঠানে পরা যায়। অনেকে গিফট এর জন্যও সেমি বলাকা শাড়ি নিয়ে থাকেন। সেমি বলাকার মধ্যে যেগুলো প্রিমিয়াম কোয়ালিটি সেগুলো ওয়েটে হাল্কা এবং সফট হয়। ফলে পরার পর খসখসে অনুভব হয় না। কিছু আছে গ্লেজি ডুয়াল টোনের আর কিছু আছে একটু ম্যাট টাইপ কালার-এই সব শাড়িতে যে কাউকে অনেক বেশি ক্লাসি লাগে।’

একটু যত্ন নিলেই শাড়িগুলো অনেক দিন ভালো আর নতুনের মতো থাকে। আর হাতের কাজ করার পর শাড়ি অবশ্যই একটু যত্নেই রাখতে হয়, শখের শাড়ি বলে কথা।