লাইফস্টাইল

শিশু ফোন ব্যবহার করছে, কী হবে জেনে নিন

অনেক বাবা-মা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় শিশুকে ফোন ব্যবহার করতে দেন। বিশেষ করে খাওয়ানোর জন্য শিশুর হাতে ফোন তুলে দেওয়া হয়। এমনও দেখা যায় ৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা স্মার্টফোন অপারেট করতে পারে। ফোন ব্যবহারকারী শিশুরা সব সময় যে শিশুদের উপযোগী কন্টেন্ট দেখে তা নয়, অনেক সময় থ্রিলার নাটক, সিনেমার দৃশ্যও দেখে তারা। এতে ভয় পেয়ে যায়। অথবা এগুলোকে তারা খুব স্বাভাবিক ভাবতে শুরু করে। যা একটি শিশুর মানসিক বিকাশের ওপর সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৬ বছররের কম বয়সী শিশুদের মস্তিষ্ক দ্রুত বিকাশ লাভ করে। এই বয়সে নিয়মিত ফোন ব্যবহার করলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। শিশুর শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক বিকাশ ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। শিশুর জ্ঞানীয় এবং ভাষাগত বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। শিশুর শব্দ ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য এবং সামাজিক যোগাযোগ শেখানোর জন্য ব্যক্তিগত মিথস্ক্রিয়া প্রয়োজন। স্ক্রিন টাইম বেড়ে গেলে শিশু সামাজিক সম্পর্ক গঠনে পিছিয়ে পড়তে পারে। শুধু তাই না শিশুর আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে। মানসিকভাবে হতাশ হতে পারে এসব শিশু। এমনকি তাদের ঘুমের ব্যঘাত ঘটতে পারে। ৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা ফোন ব্যবহার করলে শারীরিকভাবে কম সক্রিয় হতে পারে। তাদের পেশী বিকাশেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের ফোন ব্যবহার করতে দেবেন না। যদি দিতেই হয় শুধুমাত্র আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথাবলার জন্য দিতে পারেন। তাও অল্প সময়ের জন্য। এ সময় শিশুর পাশে বাবা-মা অথবা বড় কেউ থাকা উচিত। 

শিশুদের খেলনা দিতে পারেন।

বয়স উপযোগী বই পড়তে দিতে পারেন।

শারীরিক কার্যক্রম বাড়ে এমন খেলায় ব্যস্ত রাখতে পারেন।

শিশুর সঙ্গে বেশি সময় কাটান।

শিশুকে সঙ্গে নিয়ে এমন কিছু করুন যাতে সে আনন্দ এবং উৎসাহ পায়।

শিশুর ঘুমের রুটিন তৈরি করে দিন।

শিশু ঘুমানোর আগে তাকে শান্ত এবং আরামদায়ক পরিবেশ প্রদানের চেষ্টা করুন।

তথ্যসূত্র: বোল্ড স্কাই