উৎসবে মসলিন শাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ে। এই পূজায় আপনার ওয়ারড্রোবেও যুক্ত হতে পারে একটি নতুন মসলিন সিল্ক। মসলিন সিল্ক শাড়িতে যেকোন ক্রিয়েশন বা নকশা দারুণভাবে ফুটে উঠে। এমনিতে মসলিন সিল্কের রং একটা থেকে আর একটা সুন্দর। হালকা, ডিপ যেকোন শেডের শাড়িই ভালো লাগে। পার্থক্য তৈরি হয় শুধু রঙ এবং ডিজাইনের ওপর।
M & N এবং Closet by M&N-এর স্বত্বাধিকারী নাসরিন আকতার নিশা বলেন, ‘ মসলিন আমাদের চারশো বছরের পুরনো গৌরবময় ঐতিহ্য। কিন্তু সেই রাজকীয় ঐতিহ্যবাহী মসলিন আর বর্তমানে রাজশাহীর মসলিন কিন্তু এক না। এই দুই ধরনের মসলিন এর পার্থক্যই হলো সিল্ক মসলিনের ফেব্রিকস রেশম সুতায় তৈরি আর আসল মসলিন ফুটি কার্পাস তুলা থেকে তৈরি হয়। যা এখন বাণিজ্যিকভাবে তৈরি হয় না। রাজশাহীতে রেশম থেকে তৈরি হয় সিল্ক কাপড়। সিল্ক আবার কয়েক রকম আছে, তার মধ্যে মসলিন একটা। রাজশাহীর মসলিন কাপড়কে বলা হয় মসলিন সিল্ক।’
মসলিন সিল্কর হাতে কাজ করা শাড়ি, থ্রি পিছ নিয়ে কাজ করেন নিশা। এ ছাড়া এমব্রয়ডারি করা শাড়ি ও থ্রি পিছ ও রয়েছে তার ফ্যাশন হাউসে। নিশা বলেন, আসল মসলিন সিল্ক চেনার কয়েকটি উপায় রয়েছে। এগুলো হলো—
মসলিন সিল্ক কাপড় অনেক নরম এবং পাতলা হয়ে থাকে
ওজনে খুব হাল্কা
মসলিন সিল্ক পোড়ালে গন্ধ বের হয় এবং ছাই এর মতো মিশে যায়
মসলিন সিল্ক কাপড় ফুলে থাকবে না। তবে মসলিন কখনোই সফট সিল্ক এর মতো হবে না
আংটির মধ্যে দিয়ে না গেলেও একটি শাড়ি হাতের মুঠোয় নেওয়া সম্ভব
মসলিন সিল্ক-এ হাতের কাজ যোগ হলে এর সৌন্দর্য ও গুরুত্ব বেড়ে যায়। মসলিন যেমন আমাদের ঐতিহ্য, সুঁই সুতার কাজগুলোও তাই। আমাদের দেশের হস্তশিল্পীরা গভীর মনোযোগ আর ধৈর্য সহকারে মসলিন সিল্কের জমিনে ফুটিয়ে তোলেন নকশাকারের এঁকে দেওয়া নকশা।