লাইফস্টাইল

হেমকণা পায়েস 

হেমকণা পায়েস-নামটা অনেক সুন্দর। হেম শব্দের অর্থ হচ্ছে সোনা। আর হেমকণা হচ্ছে সোনার কণা। সত্যিকার অর্থে দুধের মধ্যে কেশরের মিশ্রণে পায়েসের রং হালকা সোনালি হয়ে ওঠে। এজন্যই হয়তো সোনার সঙ্গে তুলনা করে এই পদের নামকরণ করা হয়েছে হেমকণা। উৎসবে হেমকণা পায়েস পাতে পড়ুক। রইলো রেসিপি।

উপকরণ: খোয়াা ক্ষীর বা মেওয়া: ৬০ গ্রাম, কাঠবাদাম আর কাজুবাদাম: ১৫ গ্রাম, চালের গুঁড়া: ৩০ গ্রাম, জাফরান: এক চিমটি, দুধ: দেড় লিটার, চিনি: ১২৫ গ্রাম এবং পেস্তা পরিবেশনের জন্য।

প্রণালী: প্রথমে বাদাম ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে মিহি করে বেটে নিতে হবে। খোয়া ক্ষীর কুরিয়ে নিয়ে বাদাম বাটার সঙ্গে মেখে নিন। এ পর্যায়ে চিনি মেশান, একটু করে চালের গুঁড়া মেশান আর মথে নিন। মণ্ড তৈরি করুন। এবার ১৫ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। তারপর মটরশুঁটির দানার মাপে ছোট ছোট দানা কেটে মসৃণ করে গুলি পাকিয়ে নিন।

তলা ভারী পাত্রে দুধ ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর দুধে জাফরান মিশিয়ে নেবেন। আরও ২০-২৫ মিনিট জ্বাল করুন। এর পরে দুধ বেশ ঘন হলে আঁচ বন্ধ করে চিনি মেশান। চিনি গলে গেলে হেমকণার দানাগুলো দিয়ে দিন। এই পর্যায় বেশি নাড়বেন না। অল্প তাপমাত্রায় এনে, পেস্তার টুকরো ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।