লাইফস্টাইল

কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানোর উপায়

দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জাপান, কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুরের মানুষেরা তারুণ্যোজ্জ্বল ত্বক ধরে রাখার জন্য কোলাজেন ডায়েট করেন। তাদের প্রত্যেক দিনের খাদ্যতালিকায় এমন খাবার থাকে, যেগুলো শরীরে কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়তা দেয়। আর সেজন্যই এসব দেশের মানুষের বয়সের চেয়ে অনেক বেশি তরুণ দেখায়। কোলাজেনের শত্রু হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত শর্করা এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার। সুতরাং অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। চার ধরনের খাবার কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এগুলো হচ্ছে গ্লাইসিন, প্রোলিন, ভিটামিন সি এবং কপার জাতীয় খাবার। তবে শুধু প্রয়োজনীয় খাবার খেলেই হবে না, এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনও করতে হবে। 

চিকিৎসকেরা বলেন, কোলাজেন হচ্ছে এক ধরনের প্রোটিন। এই প্রোটিন মানবদেহে ত্বক, কার্টিলেজ, হাড়, পেশি, চোখের কর্নিয়া, এমনকি, পরিপাক তন্ত্রেও থাকে। এই উপাদান শরীরে প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়। যা উৎপাদন বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। এর ফলে মানুষের শারীরিক ক্ষমতা কমতে থাকে। ধীরে ধীরে কমে ত্বকের স্বভাবিক ঔজ্জ্বল্যও। অনেকের সময়ের আগেই কোলাজেন উৎপাদন কমে যায়। সময়ের আগে শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন কমার অন্যতম কারণ হতে পারে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব ইত্যাদি। তখন অল্প বয়সেই চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। ত্বক নির্জীব দেখায়। সুতরাং কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা জরুরি। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টি এজিং ক্রিম, কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, জেলাটিন, হাড়ের ব্রথ বা স্টক, মুরগি, হাঁস বা টার্কির চামড়ায়  গ্লাইসিন পাওয়া যায়।ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি, স্কোয়াশ, টমেটো। কপার পাবেন কলিজা, বাদাম, ডাল বা বিচি, কোকো পাউডার এবং ডার্ক চকলেটে। প্রোলিনের উৎস হচ্ছে ডিমের সাদা অংশ, দুগ্ধজাত পণ্য, বাঁধাকপি, ব্রকলি, বাঁশকোড়ল, মাশরুম, সামুদ্রিক শেওলা, পাটশাক, পালংশাক ইত্যাদি।

ডায়েটে এসব খাবার যুক্ত করে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে পারেন।