লাইফস্টাইল

যখন কথা বলার চেয়ে না বলা ভালো

কথা বলার চেয়ে কখনো কখনো কথা না বলার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি থাকে। মানুষ প্রতিদিন এমন অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় যেখানে তার কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। 

শোকাবহ পরিবেশে: শোকাবহ পরিবেশে কথা কম বলা ভালো। কথা বলার প্রয়োজন না থাকলে চুপ থাকা আরও বেশি ভালো। শোকার্ত মানুষ অহেতুক কথাবার্তা শুনতে চায় না। শোকার্ত মানুষের প্রয়োজন হয় সহমর্মীতা। এ সময় তাকে বোঝান আপনি তার পাশে আছে। কাছে দাঁড়ান। অপ্রাসঙ্গিক কথা অবশ্যই এড়িয়ে যান। শোকার্ত মানুষকে অকারণে প্রশ্ন করবেন না। পারলে তাকে সঙ্গ দিন।

রেগে গেলে: রেগে গেলে বিবেক দিয়ে পরিচালিত হওয়ার সুযোগ কমে যায়। আবেগ বেশি সক্রিয় থাকে। ফলে ব্যক্তি নিজের কথার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ব্যক্তি, পরিবেশ, পরিস্থিতি না বুঝে এমন কিছু বলে ফেলেন যাতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেজন্য রেগে গেলে চুপ থাকা ভালো। এমনকি ভীষণ হতাশা কিংবা খুশির সময়ও নিজের কথার ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা জরুরি। 

না জেনে অভিজ্ঞতা জাহির করতে যাওয়া: অনেকে সব আলোচনায় অংশ নিতে চান, সব বিষয়ে কথা বলতে চান। ফলে না জেনেও অভিজ্ঞতা জাহির করার চেষ্টা করেন। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

সমালোচনা করলে: কেউ সমালোচনা করলে ভেঙে না পড়ে তার কথা বোঝার চেষ্টা করতে পারেন। হয়তো নিজের ভুলগুলো খুঁজে পাবেন। কিন্তু হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে তার কথার উত্তর দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন।

চটকদার আলোচনা: অফিসে অনেক সময় চটকদার আলোচনা শুরু হয়। এই ধরনের আলোচনায় অন্যের নামে কুৎসা রটানো হয়। মনে রাখা দরকার, যিনি অন্যের নামে কুৎসা রটাচ্ছেন তিনি আপনার নামেও কুৎসা রটাতে পারেন। সুতরাং চুপ থাকাই ভালো।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির সময়: কেউ যখন আপনাকে বিশ্বাস করে তার বক্তিগত কথা, সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনার কথা বলে তখন মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করতে পারেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনার সময় কথা বলে তাকে বাধা না দেওয়াই ভালো। নিজের অজান্তে তার জীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে আপনার জীবনের অভিজ্ঞতার তুলনা করতে যাবেন না।

তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে