লাইফস্টাইল

পোশাকে বাংলাদেশ ও সেনেগালের মেলবন্ধন

সেনেগালের ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও রেডিও হোস্ট হাদিয়া স্যাটা ও বাংলাদেশি ফ্যাশন ডিজাইনার ফায়জা আহমেদের যৌথ উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ‘ঢাকা মিটস ডাকার’ কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রজেক্ট। এই প্রজেক্ট কীভাবে দুই দেশের ফ্যাশন সংস্কৃতির মেলবন্ধনে কাজ করবে সেই বিষয়ে ফায়জা এবং হাদিয়া নানা রকম পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন, তাদের পরিকল্পনার অংশবিশেষ।

ফায়জা আহমেদ বলেন, ‘‘হাদিয়া স্যাটার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরে আমাদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। ওর পোশাক-আশাক আমার ভালো লেগেছে। ও আমার ফ্যাশন হাউস ‘মানাস’- এ আসে। একদিন কফি খেতে খেতে আমরা ‘ঢাকা মিটস ডাকার’-প্রজেক্টের করার কথা ভাবি। প্রথমে আমরা ২৫ থেকে ৩০টি আউটফিট ডেভেলপ করতে চাইছি। আমার প্রোডাকশন এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে আসবে। ওর সেনেগালের ফেব্রিক, আমাদের লুঙ্গি, গামছা এই পোশাকগুলো তৈরিতে ব্যবহার করেছি। এগুলো লঞ্চ করার জন্য আমরা ইভেন্ট প্ল্যান করছিলাম অনেক ভাবে। একবার ভাবছিলাম, একটা এক্সিবিশন হবে। একবার ভেবেছি, একটা ফ্যাশন শো করবো।– কিন্তু হাদিয়া ডিসেম্বরে দেশে যাচ্ছে। এজন্য কোনো ইভেন্টই এখনই করতে পারছি না। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ওর ফেরার কথা আছে। আমরা চাচ্ছি, আরও অনেক কালেকশনের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম করতে। স্বপ্ন দেখছি, বাংলাদেশের অনেক পোশাক সেনেগালে যাবে। ঢাকা মিটস ডাকারকে একটা এক্সচেঞ্জ আইডেন্টিক্যাল প্রোজেক্ট বানানোর চেষ্টা করবো। এখন পোশাকগুলো লঞ্চ করার পরে গ্রাহকের ফিডব্যাক পাওয়ার পরে বুঝবো কী করতে হবে।

ফায়জা আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ এবং সেনেগালের ফ্যাশনের অনেক মিল আছে। আর ওযে এতোদিন ধরে ঢাকায় আছে, ঢাকার মানুষের সঙ্গে মিশছে, এখানকার ফেব্রিক দেখছে। অনেক মিল পেয়েছে। যে জায়গাগুলোতে মিল নেই, সেই জায়গায় আমার যৌথ উদ্যোগে কোনো নতুন কিছু করতে পারি কিনা?— এই ভাবনা থেকেই পোশাকে নকশা পরিকল্পনা করছি।’’

এরই মধ্যে অনেকগুলো মিটিং, সেশন করেছেন ফায়জা ও হাদিয়া। এই প্রোজেক্টের আওতায় সেনেগালের গাউন বাংলাদেশের ফেব্রিকে তৈরি হবে। যেহেতু সেনেগালের মানুষের উচ্চতা সাধারণত বেশি সেক্ষেত্রে তাদের জন্য শাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হতে পারেন বাংলাদেশের লুঙ্গি। এই ধরণের কিছু পরিবর্তন এনে সামঞ্জস্য তৈরি করা হবে। এই পরিবর্তনকে তারা বলছেন কালচারাল এক্সচেঞ্জ।  

হাদিয়া জানিয়েছেন, এই প্রজেক্ট নিয়ে তিনি খুবই উৎসাহী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, সেনেগালের রাজধানী ‘ডাকার’। এজন্যই এই প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঢাকা মিটস ডাকা’। তার দেশের পোশাকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নকশা ব্যবহারের উদ্যোগ নেবেন হাদিয়া। এবং বাংলাদেশের ফেব্রিকে সেনেগালের নকশা ব্যবহার করে তৈরি করবেন, নতুন পোশাক।