প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুইজন মানুষের আনন্দ, দুঃখ, রাগ, হতাশার মতো আবেগগুলো ভাগাভাগি করার মধ্য দিয়ে। এই অনুভূতিগুলোই ঠিক করে দেয় একটি সম্পর্ক কেমন হবে। কিন্তু সবার আবেগ সমান নয়। হতে পারে আপনি যে মানুষটিকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন সেই মানুষটি অনেক আবেগী বা ইমোশনাল। তাই যদি হয় তার আচরণগুলো তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে যাবেন না— মনে রাখা প্রয়োজন সম্পর্কে আবেগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি বরং দুইজনের সম্পর্কটা কীভাবে সুন্দর করা যায় সেদিকে মনোযোগ দিন। এজন্য তার আবেগগুলোকে গুরুত্ব দিতে হতে পারে।
আবেগ মানুষের সহজাত প্রবণতা। সবারই কম বেশি আবেগ থাকে। তবে গবেষকেরা বলেন, পুরুষের থেকে নারীরা বেশি আবেগী হয়ে থাকে। -এজন্যই তারা আনন্দ, বেদনা, পাওয়া, না পাওয়ায় বষয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখান।
অনেক বেশি ইমোশনাল মানুষেরা প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্কে একটি সূত্র মেনে চলেন, তাহলো রোমান্টিকতা। এই ধরনের মানুষেরা বই, আর্টিকেল, আর্ট, সিনেমা, সিরিজ নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন। আপনার সঙ্গী যদি এমন হয়, তাহলে কী করবেন?
ইমোশনাল সঙ্গীর মন পেতে হলে তাকে নিয়ে ডেটে যেতে পারেন কোনো কালচারাল ইভেণ্টে। অথবা আপনি তাকে নিয়ে যেতে পারেন কোনো মিউজিয়ামে। তাহলে সময়টা উদযাপন করতে পারবেন।
ইমোশনাল সঙ্গীর মন পেতে হলে তাকে নিয়ে রোমান্টিক সিনেমা দেখতে পারেন। যেমন ক্যাসাব্লাঙ্কা, টু ক্যাচ আ থিফ, মউলিন রুজ, আ স্টার ইজ বর্ন, ব্রিফ এনকাউন্টার, ব্রোকব্যাক মাউন্টেন, দ্য আমব্রেলাস অব চেরবর্গ, গন উইথ দ্য উইন্ড। এগুলো বিশ্বখ্যাত রোমান্টিক সিনেমা। আশা করা যায় আপনার ইমোশনাল সঙ্গীও এসব সিনেমা পছন্দ করবেন।
ইমোশনাল মানুষের কাছে শরীরের চেয়ে মনের গুরুত্ব বেশি। এমন সঙ্গী আগে মন জয় করার দিকে মনোযোগ দিন। ইমোশনাল ইন্টিমেসি গড়ে তুলুন। স্নেহপূর্ণ স্পর্শ আপনার প্রতি তার বিশ্বাস গভীর করে দিতে পারে।
কোনো কিছুতে তাড়াহুড়ো দেখাবেন না। আপনি যেমন সেরকমই থাকুন। কোনও ইমোশনাল মানুষের মন জয় করার জন্য নিজেকে পাল্টে ফেলবেন না। এতে মানুষটা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। এসব মানুষ সম্পর্কে সততা পছন্দ করেন।
ভুলেও যে কাজটি করতে যাবেন না তাহলো তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য। আবেগী মানুষ অপমান বোধ করলে সম্পর্কে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন না।
সূত্র: এমবিজি রিলেশনশিপ অবলম্বনে