এসে গেছে বিয়ের মৌসুম। বাঙালি নববধূ ঐতিহ্যবাহী শাড়ি কিংবা ব্রাইডাল ট্রেন্ডি লেহেঙ্গাতে সাজতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিয়ের পোশাকে মৌলিক নকশা থাকলে ভালো। একই সঙ্গে বিয়ের পোশাক হওয়া উচিত আরামদায়ক। নববধূ যাতে ভালোভাবে পোশাকটি ক্যারি করতে পারে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। বিয়ের পোশাক ট্রেন্ডি হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে নববধূকে যাতে ‘আড়ম্বরপূর্ণ’ মনে হয় সেদিকটাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। বিয়ের শাড়ি বা ব্রাইডাল লেহেঙ্গা কেনার আগে আরও যা যা বিবেচনায় নিতে পারেন—
একটি আনুমানিক বাজেট তৈরি করে নিন: বিয়ের কেনাকাটা শুরু করার আগে একটি সম্ভাব্য বাজেট তৈরি করে নিন। বাজেটের বাইরের দোকান বা ডিজাইনারদের থেকে দূরে সরে যান। সিদ্ধান্তহীনতা এড়াতে আপনার বাজেটের বাইরের লেহেঙ্গা দেখার প্রয়োজন নেই। বাজেটের মধ্যে সেরা ফেব্রিক ও নকশা খুঁজে বের করুন।
মার্জিত রুচির মানুষ সঙ্গে নিন: বিয়ের কেনাকাটা করার জন্য একজন মার্জিত রুচির মানুষকে সঙ্গে নিতে পারেন। অনেক মানুষ সঙ্গে নিলে দ্বিমত বা একাধিক মত তৈরি হতে পারে। এতে সমস্যা বাড়ে।
বিয়ের পোশাকের জন্য পরিচিত বাজারে যান: বিয়ের পোশাকের জন্য পরিচিত জায়গাগুলোতে যেতে পারেন। যেমন—বেনারসি পল্লীতে যেতে পারেন। অনেক অনেক ডিজাইনারদের তৈরি শাড়ি পাবেন। তবে দোকানদারকে আপনি আপনার বাজেটের মধ্যে পোশাক দেখাতে বলে নিতে পারেন। এবং সেই অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন।
সময় নিন: মৌলিক ডিজাইনের বিয়ের শাড়ি বা ব্রাইডাল লেহেঙ্গা পেতে চাইলে ডিজাইনারের সঙ্গে বসে আলোচনা করে নিন। আপনার বাজেট জানান। একটি মৌলিক ডিজাইনের বিয়ের শাড়ি বা ব্রাইডার লেহেঙ্গা পাওয়ার জন্য কমপক্ষে এক মাস লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার হাতে কতদিন সময় আছে, এই সময়ের মধ্যে ডিজাইনারের পক্ষে পোশাক সরবরাহ করা সম্ভব কিনা বিবেচনায় নিন। আগে থেকেই যদি বিয়ের গয়না কেনা থাকে তাহলে লেহেঙ্গার নেকলাইন মেলাতে ডিজাইনারকে গয়নাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলুন অথবা গয়নাগুলো দেখিয়ে নিতে পারেন। এতে আপনার শাড়ি বা ব্রাইডাল লেহেঙ্গার রং কি হবে, সেই বিষয়ে তিনি ভালো সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন।
সূত্র: ওয়েডিংবাজার অবলম্বনে