পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির হাত থেকে অধূপায়ীদের বাঁচাতে রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন না রাখার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
এক ভার্চুয়াল সভায় এ দাবি জানান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) এর সাংবাদিক নেতারা। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার আয়োজিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এটিজেএফবির পক্ষ থেকে পর্যটন খাতের প্রসারের জন্য শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য আইন সংশোধনও প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়।
এটিজেএফবির সভাপতি ও এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার মো. আতাউর রহমান মাসুদ, কমিউনিকেশনস অফিসার সরকার শামস বিন শরীফ, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান এবং এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক ও বিএসএসর অনলাইন ইনচার্জ তানজীম আনোয়ার।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভীর সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. শরিফুল ইসলাম।
এ সময় ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যিনি ধূমপান করেন না তার অধিকার আছে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য। অথচ পরোক্ষ ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যাই বেশি। যেহেতু ধূমপানের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সেজন্য সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা উচিত। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমই পারে আমাদের এই বার্তা নিয়মিত ভাবে সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, কানাডা, স্পেন, নেপালসহ বিশ্বের ৬৩টি দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত জায়গা নিষিদ্ধ করে আইন রয়েছে। অথচ আমাদের দেশের আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা, চার দেয়ালে আবদ্ধ এককক্ষ বিশিষ্ট নয় এমন রেস্টুরেন্ট, একাধিক কক্ষবিশিষ্ট গণপরিবহনে (ট্রেন, লঞ্চ) ও অযান্ত্রিক পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের স্থান রাখা যাবে। অথচ হওয়া উচিত, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ৭ সংশোধন করে সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা এবং ধূমপানসহ যেকোনো ধরনের তামাক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা।
এটিজেএফবির সভাপতি নাদিরা কিরণ বলেন, পর্যটন সেক্টরের বিকাশের জন্য পর্যটনবান্ধব পরিবেশ জরুরি। এজন্য গণমাধ্যমকর্মীরাই পারে তাদের লেখনি দিয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্সের সহযোগিতায় সভায় এটিজেএফবির যে সদস্য সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন- মাসুদ রুমী (কালের কণ্ঠ), মুক্তাদির রশিদ রোমিও (নিউ এজ), গোলাম মুজতবা ধ্রুব (বিডিনিউজ২৪), হাজেরা শিউলী (সময় টিভি), একেএম মঈন উদ্দিন (ইউএনবি), আবদুল্লাহ তুহিন (যমুনা টিভি), রাজিব ঘোষ (ডিবিসি টিভি), নিয়াজ মোর্শেদ (মাছরাঙা টিভি), চৌধুরী আকবর হোসেন (বাংলা ট্রিবিউন), সাব্বির আহমেদ (এটিএন নিউজ) ও এফএম মুশফির রহমান (মোহনা টিভি)।