মিডিয়া

বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ বেতার, আগাঁরগাও, ঢাকা কেন্দ্রের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধনে বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিজস্ব শিল্পী এবং কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চনার অবসান করা। ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতিসহ উপসচিব পদে ন্যায্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি নিশ্চিত করা। একীভূত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডার বাস্তবায়ন করা। বিসিএস (তথ্য) সাধারণ ক্যাডারের ৩টি ভাগ; যথা: গণযোগাযোগ/পিআইডি (কোড ১২১), বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগ (কোড ১২২) এবং বার্তা বিভাগ (কোড ১২৩) কে একিভূত করা এবং অদূর ভবিষ্যতে এই ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা। বাংলাদেশ বেতার হতে নিজস্ব মহাপরিচালক নিয়োগ করা। নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি বাতিলপূর্বক পুনঃসংশোধন করা। বাংলাদেশ বেতারের নিজস্ব শিল্পীদের পদ স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিসিএস তথ্য ক্যাডারের চারটি ভাগ রয়েছে। উপসচিব পদে আবেদন প্রেরণের ক্ষেত্রে এ চারটি ভাগের মধ্যে একটি ভাগ গণযোগাযোগ/পিআইডি থেকে ১৩৬টি ভিত্তি পদের বিপরীতে প্রতি বছর ১০টি আবেদন গ্রহণ করা হয় অথচ নিদারুণ বৈষম্যের নজির স্থাপন করে বাংলাদেশ বেতারের বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ৩টি অংশ থেকে ৩২৩টি ভিত্তি পদের বিপরীতে অযৌক্তিকভাবে মাত্র ১০টি আবেদন গ্রহণ করা হয়।

তারা বলেন, বিদ্যমান বাস্তবতায় বাংলাদেশ বেতারের চলমান বৈষম্য নিরসন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করা হলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল যে লক্ষ্য তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেতারের ৯ম, ১৩ তম এবং ১৫ তম বিসিএস কর্মকর্তারা এখনো ৪র্থ গ্রেডে আছেন। এছাড়া ২৪তম থেকে ২৭তম বিসিএস এর কর্মকর্তারা ৬ষ্ঠ গ্রেডে রয়েছেন যাদের অধিকাংশ ১৪ বছরের অধিক এবং ২৮ তম থেকে ৩৫তম বিসিএস-এর নবম গ্রেডের অধিকাংশ কর্মকর্তা প্রায় ৮ থেকে ১৪ বছর ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন।