মিডিয়া

ইন্টারনেট শাটডাউনে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে ‘ইন্টারনেট শাটডাউন ও বাংলাদেশ: সার্বিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানী আদাবরে ডিএসকে’র অডিটোরিয়ামে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভয়েসের আয়োজনে কর্মশালাটি শুরু হয়। এতে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার অন্তত ৩৫ জন সংবাদকর্মী অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ। 

কর্মশালায় ভয়েসের উপ-পরিচালক মুশাররাত মাহেরা বলেন, বর্তমান যুগে ইন্টারনেটে মানুষের প্রবেশাধিকার যদি সাময়িক সময়ের জন্য হলেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে তা সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ব্যবসা, চিকিৎসা, শিক্ষা, বিনোদন, মত প্রকাশের অধিকারসহ প্রায় সমস্ত বিষয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। 

তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন- ইন্টারনেট শাটডাউন অর্থ ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকা। বাস্তবে ইন্টারনেট শাটডাউনের পরিধি আরও বিস্তৃত। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ম্যাসেজিং অ্যাপ সাময়িক বা পুরোপুরিভাবে ব্লক করে রাখা, ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া, নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে প্রবেশ করতে না পারা ইত্যাদি ইন্টারনেট শাটডাউনের অন্তর্ভূক্ত।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি ইন্টারনেট শাটডাউনের ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সরকার নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেট বন্ধ করে থাকে, যেমন রাজনৈতিক কর্মসূচি, গণআন্দোলন, ধর্মীয় বিবাদের প্রসার, অপতথ্যের বিস্তার রোধে, পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন ঠেকাতে অথবা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি মোকাবিলায়। অনেক ক্ষেত্রে সরকারের স্বার্থ রক্ষায়ও ইন্টারনেট বন্ধ করার মত হাতিয়ার ব্যবহার করা হয়। নির্বাচনের সময় বা আগে, প্রতিবাদ সমাবেশ বা বিক্ষোভ সামাল দিতে এবং বিকল্প মতামত প্রকাশ ও প্রচার ঠেকাতে এ ধরনের উদ্যোগ নিতে দেখা যায়, যা গণতান্ত্রিক চর্চার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।  

কর্মশালাটিতে কিভাবে সেন্সরশিপ এবং বিভিন্ন উৎস ও সোর্স পরিমাণ করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা করেন ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞ আশরাফুল হক। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে ইন্টারনেট বন্ধের আইনি দৃষ্টিকোণ ও ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে কিভাবে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রভাবিত করে সে বিষয়ে আলোচনা করেন সাইমুম রেজা তালুকদার।  ইন্টারনেট সেন্সরশীপ, এর কুফল সম্পর্কে গবেষণা উপাত্ত ও এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন ডিজিটাল রাইটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরাজ চৌধুরী এবং ইন্টারনেট বন্ধের সময় ও পরে সাংবাদিকদের ভুমিকা নিয়ে আলোচনা করেন রেজওয়ান ইসলাম।