মিডিয়া

ডিআরইউ শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সন্তানদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৪।’ দিনব্যাপী চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও গানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। 

উৎসব উপলক্ষে সাজসজ্জা করা হয় ডিআরইউ প্রাঙ্গণ। দিনব্যাপী এ আনন্দ আয়োজনে সদস্য সন্তান ও সদস্যদের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল ডিআরইউ চত্বর। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয়।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় সংগঠনের নসরুল হামিদ মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব। বিকাল ৩টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন একুশে পদকজয়ী বরেণ্য নাট্যজন মামুনুর রশীদ।

অনুষ্ঠানে তিনি শিশু-কিশোরদের সৎ ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে গড়ে ওঠার আহবান জানান। তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দেশ-ইতিহাস-ঐতিহ্য জানতে হবে।এই শিশুরাই আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দেবে।

সাংস্কৃতিক উৎসবে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রখ্যাত বাউলশিল্পী শফি মণ্ডল এবং দুই খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী ও খাইরুল ওয়াসি। আবৃত্তিতে একুশে পদকজয়ী আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা, আবৃত্তিশিল্পী মুনা চৌধুরী ও আজিজুল বাসার মাসুম। চিত্রাঙ্কনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় বালা, ঢাবি চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হারুন-অর রশীদ টুটুল ও ঢাবি চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অমিত নন্দী।

এই আয়োজনে সভাতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন।

ডিআরইউয়ের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) ও কল্যাণ সম্পাদক মো. তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, রফিক মৃধা, দেলোয়ার হোসেন মহিন ও মো. শরীফুল ইসলাম।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- ক-বিভাগ সঙ্গীত শাখায় প্রথম বরুণ কুমার দাসের কন্যা আরাত্রিকা দাস বৃদ্ধি, দ্বিতীয় সায়ীদ আবদুল মালিকের কন্যা সানদিহা জাহান দিবা ও তৃতীয় সমীরণ রায়ের কন্যা শ্রদ্ধা রাণী রায়। আবৃত্তি শাখায় সায়ীদ আবদুল মালিকের কন্যা সানদিহা জাহান দিবা, নিয়াজ মাহমুদ সোহেলের কন্যা নুসরাত মাহমুদ ও শাহরিয়ার জামান দীপের কন্যা সেহরিশ জামান। চিত্রাঙ্কন শাখায় তোফাজ্জল হোসেন রুবেলের পুত্র হোসেন রিজভান রাউসিফ, ডি এম আমিরুল ইসলাম অমরের কন্যা আমিরা জাহান অর্থী ও নিয়াজ মাহমুদ সোহেলের কন্যা নুসরাত মাহমুদ। 

খ-বিভাগ সঙ্গীত শাখায় প্রথম তোফাজ্জল হোসেন রুবেলের পুত্র হোসেন রাজবীন রাউনাফ, সায়ীদ আবদুল মালিকের কন্যা রাদিতা জাহান নুভা ও জান্নাতুল ফেরদৌস পান্নার কন্যা জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি। আবৃত্তি শাখায় জান্নাতুল ফেরদৌস পান্নার কন্যা জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, তোফাজ্জল হোসেন রুবেলের পুত্র হোসেন রাজবীন রাউনাফ ও দেব দুলাল মিত্রর পুত্র সিদ্ধার্থ বিক্রম মিত্র শান। চিত্রাঙ্কন শাখায় তোফাজ্জল হোসেন রুবেলের পুত্র হোসেন রাজবীন রাউনাফ, মো. মিজানুর রহমানের পুত্র মুহাইমিন আল আইমান ও মো. সাইফুল ইসলামের কন্যা মেহজুবা ইবনাত সিলমা।

গ-বিভাগ আবৃত্তি শাখায় মো. মজিবুর রহমানের পুত্র নাভিদুর রহমান, ফরিদা বক্তেয়ারার কন্যা আলিহা মানসুরা আহমেদ ও এমরানা আহমেদের কন্যা রোজা রহমান। চিত্রাঙ্কন শাখায় নিখিল চন্দ্র ভদ্রর কন্যা ইন্দুলেখা অগ্নি, মো. মজিবুর রহমানের পুত্র নাভিদুর রহমান ও ফরিদা বক্তেয়ারার কন্যা আলিহা মানসুরা আহমেদ।