মিডিয়া

জুলাই আন্দোলন নিয়ে ইএমকে সেন্টারে শুরু হচ্ছে চিত্র প্রদর্শনী

রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইএমকে সেন্টারে ‘বাংলাদেশ পুনর্জন্ম: ৩৬ জুলাইয়ের পথে’ শীর্ষক একটি চিত্র প্রদর্শনী শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার (বিজেআইএম) দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনির ছেলে মাহির সরোয়ার মেঘ। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজেআইএমের মুখপাত্র মুহাম্মদ আলী মাজেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রদর্শনীটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে তিনটায় উদ্বোধন হবে এবং ১২ ডিসেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত তা চলবে। তবে, ৬ ও ১১ ডিসেম্বর এ প্রদর্শনী বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, প্রদর্শনীটি উদ্বোধনের পর ছাত্রদের আন্দোলন কভার করা বিজেআইএম সদস্যরা একটি ঘরোয়া আলোচনার মাধ্যমে তাদের অভিজ্ঞতা জানাবেন। অভিজ্ঞতার গল্পগুলো দর্শক ও শ্রোতাদের বিপ্লববিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর ব্যাপারে গভীর অন্তর্দৃষ্টি দেবে।

প্রদর্শনীটির বিষয়বস্তু হলো, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার বিপ্লব। যার ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পতন ঘটে। প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও বিজেআইএম সদস্য কেএম আসাদ প্রদর্শনীর কিউরেশান করেছেন। প্রদর্শনীতে জমা পড়া ও প্রদর্শিত সব ছবি বিজেআইএম সদস্যদের কাজ।

বিজেআইএমেএর প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক স্যাম জাহান এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব ফয়সাল মাহমুদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, অধিকারকর্মী, ছাত্র ও জনসাধারণকে প্রদর্শনীটি দেখার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

প্রদর্শনীর সব অংশগ্রহণকারী পেশাদার আলোকচিত্রী না হলেও এর মাধ্যমে সংগঠনটির সদস্য যারা সম্মুখে থেকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব নিয়ে প্রতিবেদন বা কাজ করেছেন, তারা কীভাবে ঘটনাপ্রবাহগুলো দেখেছেন ও উপস্থাপন করেছেন তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। তাছাড়া এই বিপ্লবে মুক্ত সাংবাদিকতার কী অবদান ছিল সেই ভাবনার খোরাকও এই প্রদর্শনী জোগাবে।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা ও বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সব ধরনের নৈতিক সমর্থন দিতে ২০২২ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগত সময়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা বিশেষত সীমাবদ্ধ সংবাদ আইন ও সেন্সরশিপের সময়ে বিজেআইএম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছে সংগঠনটি। তাছাড়া বিজেআইএম এসব কর্মসূচি পালনে বিশ্বখ্যাত কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে আসছে।