অধিকাংশ বাইকারই তাড়াহুড়ার কারণে মোটরসাইকলে সাইড স্ট্যান্ডে পার্ক করে থাকেন। কারণ সাইড স্ট্যান্ড করতে যেমন সময় কম লাগে তেমনি খুব বেশি ঝক্কিও পোহাতে হয় না। অনেকের মতে বাইক সাইড স্ট্যান্ডে রাখলে কিছু ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আদতে কি তাই?
সাধারণত মোটরসাইকেলগুলো সাইড স্ট্যান্ডে পার্ক করার হিসাবেই ডিজাইন করা হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই নিয়মিত ব্যবহার করা হয়, এমন বাইকগুলো সাইড স্ট্যান্ডের ওপর পার্ক করলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে দীর্ঘ মেয়াদে সাইড স্ট্যান্ড করা অবশ্যই বাইকের জন্য ক্ষতিকর।
টায়ার: দীর্ঘদিন সাইড স্ট্যান্ডে রাখলে বাইকের টায়ারগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কারণ টায়ার দুটোই বাইকের পুরো ওজন বহন করে। বাইকটিকে সেন্টার স্ট্যান্ডে রাখলে অন্তত একটি টায়ার সম্পূর্ণ বাতাসের ওপর থাকে। সাইড স্ট্যান্ডে মোটরসাইকেলের ওজনের কারণে টায়ারে ফ্ল্যাট দাগ তৈরি হতে পারে, যা বাইকের পরিচালনা এবং স্থায়িত্বকে প্রভাবিত করতে পারে।
চেসিস: বাইকের সাইড স্ট্যান্ড চেসিসের সঙ্গে যুক্ত হয়। তাই দীর্ঘক্ষণ যদি মোটরসাইকেল সাইড স্ট্যান্ড করে রাখা হয় তাহলে চেসিসের জয়েন্টে কাছে অপ্রত্যাশিত চাপ তৈরি হয়। এর ফলে সেটি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস চলতে থাকলে চেসিস দুর্বল হয়ে যায় এবং পরে গিয়ে বাইকের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।
তেল লিক: অনেক বাইক নির্মাতারা তেলের স্তর নিয়ন্ত্রণের জন্য বাইকটিকে একটি খাড়া অবস্থানে রাখতে চান। দীর্ঘদিন মোটরবাইক সাইড স্ট্যান্ড করে রাখলে দুটি ইনজেক্টরের উপর জ্বালানির চাপ তৈরি হতে পারে, জ্বালানির লেভেল সরে যেতে পারে। যে সব বাইকে ইঞ্জিন ইমোবিলাইজার নেই সেইসব বাইকে এই সমস্যা বেশি দেখা যেতে পারে। লিক হতে পারে জ্বালানি।
এ ছাড়া সাইড স্ট্যান্ড করার ফলে অতিরিক্ত স্পেসও দখল করে নেয় বাইক। সেন্ট্রাল স্ট্যান্ড করলে অপেক্ষাকৃত কম জায়গা দখল করে বাইক। কারণ সেন্ট্রাল স্ট্যান্ড করলে মোটরসাইকেল খুব বেশি কাত হয় না।
সার্বিক বিবেচনায় তাই আপনার শখের বাইকটিকে ডবল স্ট্যান্ড বা সেন্টার স্ট্যান্ডে পার্ক করা উচিত। অবশ্য স্বল্প সময় কিংবা দু’একদিনের কথা হলে তা ভিন্ন।