নাড়ির টানে ঈদে রাজধানী ছেড়েছেন এবং ছাড়ছেন লাখ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে কেউ কেউ যাত্রা করেছেন নিজের সাধের মোটরসাইকেল নিয়ে। তবে মহাসড়কে অতিরিক্তি গতি কিংবা বাস ও অন্যান্য বাইকের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে প্রাণ হারান অনেক বাইকার। আবার অনেককে মাঝপথে নষ্ট বাইক নিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে হয় মেকানিক্সের জন্য। তাই ঈদ যাত্রার আগে একটু সচেতন হলেই বাঁচতে পারেন আপনার সময় ও জীবন।
শুধু ঈদের মৌসুমেই নয়, বরং নিরাপদে মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য সব সময় মহাসড়কে সেফটি গিয়ার, সার্টিফাইড হেলমেট ও বুট পরিধান করুন। মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দুজনকেই সার্টিফাইড হেলমেট পরতে হবে। সবার আগে স্পার্ক প্লাগ, এয়ার ফিল্টার, টায়ার প্রেসার, এক্সিলেটর ও ক্লাচ কেবলের অবস্থা চেক করুন। পরিবর্তন বা পরিষ্কার করার প্রয়োজন হলে করে নিন। ট্যাংকি পূর্ণ করে তেল নিন। এতে আপনার ঘন ঘন তেলের পাম্প খুঁজতে হবে না। ঘনঘন ওভারটেক করবেন না। বাস বা ট্রাকের মাঝ দিয়ে ওভারটেক করতে যাবেন না। হুটহাট করে ডানে-বামে যাবেন না। যতটা সম্ভব একটি নির্দিষ্ট গতিতে লেন মেনে বাইক চালান। প্রতিযোগিতার মনোভাব এড়িয়ে চলুন। বড় গাড়ির একদম পেছনে থাকবেন না। কারণ, এতে চালক বা হেলপার আপনাকে দেখতে পান না। মোটরসাইকেল চালানোর সময় ফোনে কথা বলা ও হেডফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ফোনে কথা বলা বা গান শোনার সময় অন্যমনস্ক হয়ে যাওয়ার অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মহাসড়কে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে গিয়ে শুধু রাস্তার ওপর মনোযোগ ধরে রাখাটা ভীষণ কঠিন। এরপরেও বাইক রাইডের পুরোটা সময় মনোযোগ ধরে রাখতে হবে আপনাকে। ক্লান্ত মনে হলে রাস্তার পাশে বাইক দাঁড় করিয়ে বিশ্রাম নিন। বাইকে অতিরিক্ত ব্যাগ বহন করবেন না। এতে ব্যালেন্স হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিজেকে অন্যের দৃষ্টিগোচরে রাখুন। মহাসড়েক মোটরসাইকেল চালানোর সময় এমন রঙের পোশাক পরা উচিত, যেন দূর থেকে আপনার উপস্থিতি নজরে পড়ে। এতে দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ঈদের এই সময় মহাসড়কে অনেক বেশি গাড়ি থাকে এবং গাড়িগুলো খুব দ্রুত চলাচল করে। তাই মোটরসাইকেল চালানোর সময় প্রতি মিনিটে অন্তত ছয় থেকে আট বার লুকিং গ্লাসের দিকে তাকান।নিয়ম মেনে রাইড করুন, নিরাপদে বাড়ি ফিরুন।