জাতীয়

বিশ্ব বেতার দিবস আজ

শাহ মতিন টিপু : বিনা তারে কথা সম্প্রচার যন্ত্রই বেতার। বর্তমানে এই প্রযুক্তির প্রসার ব্যাপক। তারবিহীন যেকোনো যোগাযোগের মূলনীতিই হল বেতার। বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে মহাকাশ পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত হয় রেডিও টেলিস্কোপ। বিশ্ব বেতার দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ক্রীড়াঙ্গণে বেতার’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং দেশ ও জাতির আকাংখাকে ধারণ করে বাংলাদেশ বেতার আরো বহুদূর এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বেতারের সতর্কতামূলক বার্তা সাধারণ মানুষকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়। বাংলাদেশ বেতারে কৃষি, শিক্ষা, জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কার্যক্রমের পাশাপাশি সম্প্রতি ক্রীড়া ক্ষেত্রে বেতার কার্যকর অবদান রেখে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গর্বিত উত্তরাধিকার বাংলাদেশ বেতার দেশের বৃহত্তম এবং অন্যতম শক্তিশালী গণমাধ্যম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশে সর্বপ্রথম জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাসহ তথ্য অধিকার আইন প্রণয়র ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। বেসরকারিখাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।’ বিশ্ব বেতার দিবস ২০১৮ উপলক্ষে আজ জাতীয় বেতার ভবন, আগারগাঁও, ঢাকায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।সকাল ৯টায় জাতীয় বেতারভবন থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু র‌্যালির উদ্বোধন করেন। জাতীয় বেতার ভবন মিলনায়তনে বিশ্ব বেতার দিবস ও শ্রোতা সম্মেলন ২০১৮ এর উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার এ যুগেও বেতারের গুরুত্ব মোটেও হারিয়ে যায়নি। বাংলাদেশে ঢাকায় রেডিও সম্প্রচার শুরু হয় ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৩৯ সালে। রেডিও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুদ্ধের সময় এটি স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল। একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর বেতারকেন্দ্রটির নামকরণ হয় ‘বাংলাদেশ বেতার’ । বর্তমানে ঢাকার ক, খ ও গ চ্যানেল এবং এফ.এম-এর অনুষ্ঠান নির্মাণের পাশাপাশি ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র নিয়ে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান শাখার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে দেশে বেশকিছু বেসরকারি রেডিও সমপ্রচারে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- রেডিও টুডে, রেডিও আমার, রেডিও ফুর্তি, এবিসি রেডিও, রেডিও স্বাধীন, ঢাকা এফএম, রেডিও ভূমি, পিপলস রেডিও, সিটি এফএম, এশিয়ান রেডিও, রেডিও আম্বার, রেডিও ধ্বনি, রেডিও নেক্সট, কালারস এফএম, রেডিও পদ্মা, রেডিও ক্যাপিটাল, জাগো রেডিও। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/টিপু