করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনলাইনে স্বাস্থ্য সেবা দিতে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বর্ডারলেস হেলথ কেয়ার গ্রুপ। বাংলাভাষী চিকিৎসকরা প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে এ প্ল্যাটফর্মে পরামর্শ দেবেন।
জানা গেছে, গত ১৪ মে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর কার্যক্রম বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বর্ডারলেস হেলথ কেয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. ওয়েই সিয়ান ইউ।
বর্ডারলেস হেলথ কেয়ার গ্রুপ জানায়, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চালু করা হচ্ছে চিকিৎসা বিষয়ক অনলাইন ক্লিনিক প্ল্যাটফর্ম।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বর্ডারলেস ক্লিনিক বিশ্বের প্রথম মাল্টিরিজিওনাল ভিডিও কলসেন্টার সেবা, যেখানে ২০ হাজারের বেশি চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত পাতা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকরা রয়েছেন। আর এ সুবিধা পাবেন সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা বাংলাদেশিরাও।
বোর্ডারলেস টেলিমেডিসিন স্বাস্থ্যসেবার এ অনলাইন প্লাটফর্ম সম্পর্কে ড. ওয়েই সিয়াই বলেন, যে সব বাংলাদেশি চিকিৎসক এবং স্বেচ্ছাসেবকরা এ প্লাটফর্মের বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছেন, আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আরও ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা বাংলা ভাষায় এ টেলিমেডিসিন সেবা দিতে আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, বিদেশে বসবাসরত যেসব বাংলাদেশিরা বিভিন্ন ডরমেটরিতে আছেন, তারা যদি চান টেলিভিশনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবাটি পেতে চায়, তাহলে তারা বিনামূল্যে সেবাটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আামাদের পক্ষ থেকে তাদের হলরুমে একটি টেলিভিশন মনিটর স্থাপন করা হবে, যার মাধ্যমে তারা টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রকাশিত তথ্যে আমরা দেখেছি যে, প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি কর্মী সিঙ্গাপুরে কর্মরত রয়েছেন। যারা প্রতিবছর প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠান। বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির পরেই এই খাতের অবস্থান। তাই দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা এ মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সেবাটি চালু করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বর্ডারলেস হেলথ কেয়ার গ্রুপের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করা যাবে।
ড. ওয়েই সিয়াই এ বিষয়ে আরও বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্যে আমরা এ সেবা সম্পর্কিত তথ্যগুলো দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছি। যাতে করে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা ও তাদের পরিবারেরা নতুন প্রজন্মের এ ক্লিনিক সেবার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেবাটি গ্রহণ করতে পারেন। হাসান/এসএম