জাতীয়

মহাসড়ক আইন অনুমোদন: সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদণ্ড, জরিমানা ৫ লাখ টাকা

দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ‘মহাসড়ক আইন, ২০২১’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৮ জুন) সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে হাইওয়ে রক্ষণাবেক্ষণে এতদিন আইন ছিল না। এখন একটি সমন্বিত আইন করা হচ্ছে। ১৯২৫ সালের হাইওয়ে অ্যাক্ট রহিত করে মহাসড়ক, নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং অবাধ, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ যান চলাচলের জন্য নতুন আইন করা হচ্ছে।‘

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এ আইনের অধীনে গেজেট দিয়ে সরকার বলে দেবে, কোন সড়ক বা মহাসড়কে কে প্রবেশ করবে বা কে প্রবেশ করবে না। কোনটা মহাসড়কের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হবে, পরিচালনা কেমন করা হবে, কোনগুলোতে টোল নেওয়া হবে।’

সরকার বা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মহাসড়ক উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ, মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট সুয়ারেজ সিস্টেম, ড্রেন, কালভার্ট, সেতু নির্মাণ ও সংস্কার করবে বলেও জানান তিনি।

এ আইনের অধীনে বিধির মাধ্যমে সড়ক, মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়েতে বিধি অনুযায়ী টোল আদায় করা যাবে। তবে সব সড়কেই টোল আদায় করা যাবে না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘টোল বিধি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হবে। এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ের সবগুলোতে টোল নিতে হবে। পিপিপির মাধ্যমে যে প্রোজেক্টগুলো হবে, সেগুলোতে টোল দিতে হবে। সেতু বিভাগ টোল ঠিক করবে। কোন কোন সড়কে টোল আদায় করা হবে, তা বিধি নিয়ে নির্ধারণ করা হবে।’

বৈঠকে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইনে, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনও ডেওয়া হয়েছে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিশেষ কোনো পরিবর্তন না করে ১৯৮৬ সালের অর্ডিন‌্যান্সকে বদলে নতুন আইন করা হচ্ছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনামলে জারিকৃত আইন ও অধ্যাদেশকে নতুন করে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে।’

এছাড়া, সংশোধিত সড়ক পরিবহন আইন খুব তাড়াতাড়ি মন্ত্রিসভায় আনতে মন্ত্রিসভা নির্দেশনা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।