জাতীয়

ধ্বংসস্তূপে মিথেন গ্যাস, খুঁড়ে দেখবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ

রাজধানীর মগবাজারে আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার ৮দিন পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মিথেন গ্যাস বের হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

রোববার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে গ্যাস বের হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস) অনুমতি পেলে ধ্বংসস্তূপের মাটি খুঁড়ে গ্যাস বের হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা গেছে, ইতিমধ্যে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এর পক্ষ থেকে ধ্বংসস্তূপ করার অনুমতি পেয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।  তবে এই মুহূর্তে ধ্বংসাত্মক ভবনের সার্বিক পরিস্থিতি অবস্থা বিবেচনা করে ধ্বংসস্তূপ সংলগ্ন মাটি খোঁড়ার অনুমতি দেয়নি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমতি পায়নি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। তবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ধ্বংসস্তূপ সংলগ্ন মাটি খুঁড়ে গ্যাস বের হওয়া কারণ খতিয়ে দেখা হবে। এজন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া বিস্ফোরিত ভবন সংলগ্ন প্রধান সড়কে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গ্যাস থেকে যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে অগ্নিনির্বাপক সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তিতাস গ্যাস ও ফায়ার-সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত তিতাস গ্যাসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার দিদারুল আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে ধ্বংসস্তূপের যেখান থেকে গ্যাস বের হচ্ছে, সেখানকার মাটি খোঁড়ার অনুমতি পেয়েছি। তবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায়, ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ আমাদের মাটি খোঁড়ার এখনো অনুমতি দেয়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ মগবাজারে ভবন দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’

ঘটনাস্থলে দায়িত্ব থাকা ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের স্টেশন অফিসার ইউনুস আলী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই মুহূর্তে ভবনটির ধ্বংসস্তূপ সংলগ্ন মাটির খোঁড়াখুঁড়ি করা ঝুঁকিপূর্ণ। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ সার্বিক দিক বিবেচনা করে মাটি পড়ার বিষয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।’

জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বড় মগবাজার বিস্ফোরিত ভবনের ধ্বংসস্তূপের মাটির নিচ থেকে গ্যাস বের হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে রমনা থানার টহলরত পুলিশ সদস্যদের। পরে তৎক্ষণাৎ পুলিশ সদস্যরা ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের খবর দেন। সকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গ্যাস বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।