স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বর্তমানে হাসপাতালের ৯০ শতাংশ বেডে রোগী রয়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে করোনা চিকিৎসায় এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। যা আগামী শনিবার চালু করা হবে। এখন আর তেমন ভবনও নেই যে হাসপাতাল চালু করবো। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ডাক্তার-নার্সরাও ক্লান্ত। দেড় বছর তো হলো। আবার নতুন করে ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।’
সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি জোরদারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ঢাকায় যেসব করোনা রোগী ভর্তি আছেন তার ৭৫ শতাংশই গ্রাম থেকে আসা। তাদের মৃত্যু হারও বেশি। তাই ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করতে হবে। এছাড়া, যারা ফ্রন্টলাইনার আর্মি, পুলিশ, সাংবাদিকরা টিকা পেয়েছেন। কিন্তু যারা এখনও পাননি তাদেরও দিতে বলা হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।’
তিনি জানান, গ্রামে অনেক বয়স্ক ব্যক্তি আছেন যারা উপসর্গ থাকা সত্বেও পরীক্ষা করাতে চান না। ফলে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।
লকডাউনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লকডাউন পালনে অনেকের অনীহা। আগে জীবন বাঁচাতে হবে। তারপর অর্থনীতি। এ কারণে লকডাউন মানতে হবে। ভ্যাকসিন নিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। লকডাউনের চতুর্থ দিনে যেখাবে গাড়ি চলছে তাতে আমরা দুঃখিত। যারা বাইরে বের হচ্ছে তারা নিজেদের ক্ষতি করছে।’