রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের জন্য দেশেরর তামাক ও তামাকজাতীয় পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মনোনয়নের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
এই পুরস্কারের জন্য এসব কোম্পানিকে অযোগ্য ঘোষণা করে গত ১১ আগস্ট নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে তামাকবিরোধী জোট প্রজ্ঞা বলছে, এমন এক সময় শিল্প মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপ নিল যখন বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মহামারি অতিক্রম করছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাককে করোনা সংক্রমণ সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয়।
প্রজ্ঞাসহ তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও বিগত কয়েক বছর ধরে বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এই পুরস্কার পেয়ে আসছিল।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতির পদের বিপরীতে ০.৬৪ শতাংশ শেয়ার থাকার সুবাদে সরকারের কাছ থেকে নানা ধরনের ব্যবসায়িক সুবিধা আদায় করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অন্যান্য মন্ত্রণালয়েরও উচিত হবে প্রাণঘাতী তামাক পণ্য উৎপাদনকারী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত না করা। বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লাখ ২৬ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে অকালে মারা যায়। প্রধানমন্ত্রী তামাক ব্যবহারের ভয়াবহতা উপলব্ধি করেই ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।’