করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়ে গাজীপুরে অসুস্থ হয়ে পড়া শ্রমিকরা এখন ভালো আছে বলে জানিয়েছেন মৌচাক নিট কম্পোজিট লিমিটেডের মালিক নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, গাজীপুর সিভিল সার্জনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শ্রমিকদের টিকা দেয়া হয়েছে।
নাসির উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, টিকা নিয়ে কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থবোধ করায় গাজীপুর সিভিল সার্জনের পরামর্শক্রমে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মৌচাক নিটের সব শ্রমিককে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপরের পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরে সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রমে মৌচাক নিট কম্পোজিটে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়। এই দিন কারখানাটিতে কর্মরত অন্তত ৪০০ শ্রমিক টিকা গ্রহণ করেন। টিকা গ্রহণের পর কিছু সংখ্যক শ্রমিকরা অসুস্থ বোধ করলে তাদের কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অসুস্থ শ্রমিকদের ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কারখানা মালিক নাসির উদ্দিন জানান, সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে টিকা কার্যক্রম চলছে। তারা সার্বক্ষণিক এটি পর্যবেক্ষণ করছেন। আমরাও শ্রমিকদের খোঁজ রাখছি।
তিনি জানান, দুটো কারখানায় তিন হাজারের মত শ্রমিক রয়েছেন। এর মধ্যে যে কারখানাটিতে শ্রমিকরা অসুস্থ বোধ করেছে তাতে ১৬শ শ্রমিক রয়েছেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার পর দুইটি কারখানাই সিভিল সার্জনের পরামর্শ ক্রমে ছুটি দিয়ে দিয়েছি। দুপরের খাবারের পর এই ছুটি ঘোষণা করা হয়।
ঘটনা সম্পর্কে নাসির উদ্দিন আরও বলেন, করোনার টিকা নেয়ার পর টুকটাক ব্যথা হয়, শারীরিক সমস্যা হয়। আমারও হয়েছে। যারা টিকা নিয়েছেন তারা বিষয়টি জানেন। অনেক সময় নার্ভাসনেস থেকেও এটা হয়ে থাকে। চার-পাঁচশ শ্রমিকের মধ্যে সাত-আট জন একটু অসুস্থ বোধ করছে, এই আর কি।
হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে তিনি জানান, বর্তমানে হাসপাতালে কেউ ভর্তি নেই। হাসপাতালে ভর্তির খবরটা ভূয়া। কারখানার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, শ্রমিকদের মধ্যে এ নিয়ে কোন সমস্যা নেই।
রাইজিংবিডির গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুর সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান বলেছেন, `সকালে আমাদের লোক ওই প্রতিষ্ঠানে ২য় ডোজের টিকা দিতে যায়। টিকা নেওয়ার পরে কিছু শ্রমিক অসুস্থ হয়। আমার কাছে এখন পর্যন্ত যে তথ্য আছে তাতে ৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এটা গুরুতর কিছু নয়। কিছু সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা।'
এ বিষয়ে বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম রাইজিংবিডিকে বলেন, ঘটনা সম্পর্কে বিজিএমইএ কোন খবর পায়নি। গুরুতর বিষয় হলে আমদের কাছে খবর আসতো। যাই হোক শ্রমিকের সমস্যা মানে মালিকের সমস্যা, বিজিএমইএ দ্রুত এই বিষয়ে খোঁজ নিবে এবং কারণ সম্পর্কে জানবে।
পড়ুন: করোনা টিকা নিয়ে শতাধিক পোশাক শ্রমিক হাসপাতালে