জাতীয়

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্লাস্টিক দূষণের কেন্দ্রস্থল: এডিবি

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে বিশ্বের মোট মাছের ৬০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। যদিও এই অঞ্চলটি সামুদ্রিক প্লাস্টিক দূষণের কেন্দ্রস্থল। প্লাস্টিক ও মাছের অতিরিক্ত মজুত বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা এবং সমগ্র সামুদ্রিক খাদ্য শিল্পকে বিপদে ফেলেছে।  তারপরও কোনো দেশের সরকার বা বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান মহাসাগরের সমস্যাগুলো সমাধানে দ্রুত কাজ করছে না। 

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এডিবির টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের মহাপরিচালক ব্রুনো ক্যারাসকো বলেছেন, এখন পর্যন্ত সমুদ্র প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থায়ন স্বল্পমেয়াদী। দীর্ঘমেয়াদি এই সমস্যার সমাধানে জন্য ছোট ছোট চুক্তি থেকে রূপান্তরমূলক বাজার লেনদেনে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। সমস্যা সমাধানে এই মাসে এডিবি তার প্রথম নীল বন্ড জারি করেছে।  টেকসই নীল অর্থনীতি গড়ে তোলার পাশাপাশি সমুদ্রের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আর্থিক বাজার ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এডিবি জানায়, ২০১৯ সালে এডিবি এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য পরিবেশসম্মত মহাসাগর ও টেকসই নীল অর্থনীতির জন্য পরিকল্পনা চালু করেছে। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হল সমুদ্র স্বাস্থ্য ও সামুদ্রিক অর্থনীতি প্রকল্পের জন্য ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সহযোগীদের ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে।

এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনগ্রিড ভ্যান উইস বলেন, সমুদ্রের স্বাস্থ্য, সামুদ্রিক প্রোটিন এবং জীবিকার জন্য এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ করাই প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্যা দূর করতে এডিবি অনুপ্রেরণার পাশাপাশি নতুন তহবিল তৈরি করবে। আমরা বিশ্বাস করি যে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ব্লু বন্ড একটি ভালো পদক্ষেপ হবে।

তিনি জানান, ব্লু বন্ড মডেলটি প্রতিলিপিযোগ্য এবং পরিমাপযোগ্য এবং এডিবি তাদের নিজস্ব ব্লু বন্ড ইস্যু করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এটি মৎস্য, সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় পর্যটন, উপকূলীয় দূষণ হ্রাস, বৃত্তাকার অর্থনীতি ত্বরান্বিত করে, সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তি, সবুজ বন্দর এবং শিপিং প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে।