কূটনৈতিক প্রতিবেদকঢাকা, ২১ মে : বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। বলা যায়, প্রতিদিনই রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, বর্তমান ও সাবেক কূটনীতিক বা বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকের পর বৈঠক করছেন। মনে হচ্ছে, তিনি এক অদম্য মনোবলের মানুষ।
অন্যদিকে তিনি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। বাংলাদেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন। ঘুরে ঘুরে ইতিহাস-ঐতিহ্যের রূপ আস্বাদন করছেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে চমৎকার চমৎকার উক্তি করছেন। যেসব কথায় বাংলাদেশকে প্রাণান্ত ভালোবাসার চিত্রই ভেসে উঠছে।
হালে এই কূটনীতিক ব্যস্ত বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার চরম মূহুর্তে শান্তিপূর্ণ অবস্থান সৃস্টির প্রয়াস খুঁজে বেড়াচ্ছেন তিনি। সে লক্ষ্যে প্রতিদিনই আলাপ-বৈঠকে সময় পার হচ্ছে তার। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মজীনার এই দৌড়ঝাঁপ বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখা গেছে, সোমবার সকাল থেকে রাত অবধি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি। সকালে দেড় ঘন্টাব্যপী গুলশানের আমেরিকান ক্লাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন মজীনা। এ সময় আরো ছিলেন ইউএসএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশরাত জাহান ও আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের (অ্যামচেম) সাবেক সভাপতি ফরেস্ট কুকসন।
আবার সন্ধ্যায় দেড় ঘন্টাব্যপী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন মজীনা। এসব বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক সংকট, জাতীয় নির্বাচন, সংলাপ আয়োজনের নানা দিক ছাড়াও তৈরি পোশাক শিল্পে সৃষ্ট অস্থিরতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য পায় বলে জানা গেছে।
এরপর রাত সাড় ৮টায় গুলশানে মজীনার বাসায় যান বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি। তিনিও বাসায় প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন। মজীনার এই পূর্বসূরী তার পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে হয়তবা বাংলাদেশের সংকটময় পরিস্থিতির উত্তরণে ড্যান ডব্লিউ মজীনাকে সঠিক গাইডলাইন ও পরামর্শ যুগিয়ে যাবেন।রাইজিংবিডি/ শাহ মতিন টিপু