জাতীয়

বেশি বেশি পাটপণ্যের প্রদর্শনীর নির্দেশ মন্ত্রীর

প্রসার বাড়াতে আরও বেশি হারে দেশে ও বিদেশে পাটপণ্যের প্রদর্শনী করার নির্দেশ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বীরপ্রতীক গোলাম দস্তগীর গাজী।

রোববার (৬ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) তিন দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জেডিপিসি প্রাঙ্গণে চলমান তিন দিনের এই প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ৮ মার্চ। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। এবার মেলায় ৩৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা বহুমুখী পাটপণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তারা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। প্রদর্শনীতে পাটের প্রায় সব পণ্য রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যত পারেন পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রপ্তানিতে উৎসাহী হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর মেলা কয়টি করবেন আমাদের জানাবেন। মেলা হলে উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন। অনেক উদ্যোক্তাই দেশের বাইরে যেতে পারেন না। মেলা হলে তারা লাভবান হবেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের আরও উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আমরা ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। সরকার উদ্যোক্তা তৈরি করতে আগ্রহী। কারণ উদ্যোক্তা ছাড়া দেশের কোন ভবিষ্যৎ নেই।’

জেডেপিসি আইন করার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘জেডিপিসি আইন করলে উদ্যোক্তারা কতটুকু লাভবান হবে, সেটা আগে বুঝতে হবে৷ আইন করতে হলে ভালো হবে না খারাপ হবে, আগে সেটি যাচাই করতে হবে। দেশের জন্য যেটি মঙ্গলজনক, আমরা সেটিই করব। উদ্যোক্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। উদ্যোক্তা ও সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে আইন হবে।’

জেডেপিসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ।

তিনি বলেন, ‘বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে খরচ কমাতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। কারণ কাঁচা পাটের দাম আর কমবে বলে মনে হয় না।’

সচিব আরও বলেন, ‘এবার মেলার আয়োজন নিয়ে আমরা দ্বিধায় ছিলাম— করোনার কারণে মেলা হবে কি হবে না। তাই ছোট জায়গায় মেলা হচ্ছে। এখানে সীমিত পরিসরেই মেলা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে মেলা হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে জেডেপিসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘মূল্য সংযোজিত বহুমুখী পাটপণ্যের চাহিদা বাড়ছে। বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানি করে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। সব মিলিয়ে পাট খাতের রপ্তানি আয় ৫ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।’