আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ উপলক্ষে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘নারী মৈত্রী’ ৯ মার্চ হোটেল বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজ-এ প্যানেলভিত্তিক আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভার আয়োজন করে।
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) সহায়তায় ও ব্যুরো অফ পপুলেশন, রিফিউজিস, এন্ড মাইগ্রেশনের অর্থায়নে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির মূল বিষয়বস্তু ছিল ‘লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার মূল কারণ হিসাবে অসম লিঙ্গ শক্তি সম্পর্ককে মোকাবেলা করে প্রতিরোধের প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করা।’
এ সময় প্যানেল মেম্বার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্যামুয়েল কোমাকেচ, ইন্ট্রিগ্রেটেড প্রোটেকশন কর্ডিনেটর, আইআরসি, সোফিয়া কেনোভাস পেরেডা, জিবিভি সাব সেক্টর কর্ডিনেটর, ইউএনএফপিএ, সারাহ হোসেন, প্রোটেকশন ম্যানেজার, ব্রাক, নাঈম আহমেদ, টেকনিক্যাল ম্যানেজার, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ, শাহীন আকতার ডলি, নির্বাহী পরিচালক, নারী মৈত্রী সহ আরও অনেক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিগন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯(৩) অনুচ্ছেদে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। নারীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে সহযাত্রী হিসেবে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন উপস্থিত সকলে।
নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সকল নারীর প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নে সমঅংশীদারিত্ব নিশ্চিত করেছে যা লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের জন্যও কাজে আসছে।”
আইআরসি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মানিশ আগরওয়াল বলেছেন, আমরা যদি সমাজে লিঙ্গভিত্তিক পক্ষপাতমূলক আচরণের ক্ষেত্রে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে চাই তাহলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তি পর্যায়ে চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনতে হবে।
নারী মৈত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৪, হাকিমপাড়া, উখিয়া, কক্সবাজারে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।