বিদ্যুতের দাম ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি টিম।
বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গণশুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়।
শুনানিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, পরিচালক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিইআরসির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) প্রস্তাবিত ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবের বিপরীতে ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
পাইকারি রেটে প্রতি ইউনিট ৩ টাকা ৩৯ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিউবো। অন্যদিকে, এ প্রস্তাবের বিপরীতে ২ টাকা ৯৯ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করে কারিগরি টিম।
পড়ুন: ২ ঘণ্টা পর সচল হলো ডেসকোর সার্ভার
বিইআরসি সবশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিটপ্রতি ৫.১৭ টাকা নির্ধারণ করে।
বিদ্যুতের একক পাইকারি বিক্রেতা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) নিজেরা উৎপাদনের পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি ও বেসরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনছে।
পাঁচটি বিতরণ কোম্পানির কাছে তারা পাইকারি দরে বিক্রিও করে আসছে। আর নিজেরা ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের শহরাঞ্চলে বিতরণ করে যাচ্ছে।
বিপিডিবির পাইকারি দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে খরচ বেড়ে গেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২.১৩ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.১৬ টাকায়।
জ্বালানি তেলের দাম ও কয়লার মূসক বাড়ার কারণে ২০২২ সালে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে ৪.২৪ টাকায়। পাইকারি দাম না বাড়লে ২০২২ সালে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লোকসান হবে বিপিডিবির।