প্রস্তাবিত বাজেটে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতা বাড়ছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৯ হাজার বাড়িয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২ লাখ ৫৪ হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র গর্ভবতী মায়ের জন্য বিদ্যমান মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং শহর অঞ্চলের কম আয়ের কর্মজীবী মায়েদের জন্য ল্যাকটেটিং ভাতা এ কর্মসূচি দুটিকে সমন্বিত করে ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ নামে বাস্তবায়ন শুরু করেছি। এ কার্যক্রম জীবনচক্রভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে শিশুর জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ এক হাজার দিনসহ চার বছর পর্যন্ত শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে। এ ছাড়া মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাস, খর্বকায় শিশুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মূলত এ কার্যক্রম চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, সরকার সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচিকে সর্বোত্তম বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করছে। ফলে এ কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের উপকারভোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ৪৫ হাজার থেকে দুই লাখ ৯ হাজার বাড়িয়ে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ১২ লাখ ৫৪ হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব করছি। এ খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ এক হাজার ২৪৩ কোটি টাকা।