ভূমিদস্যুদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে সংলগ্ন খালের বাৎসরিক পরিস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, নর্দমাগুলো ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে গ্রহণ করার পর থেকে বার্ষিক সূচি করে বছরের প্রথম থেকেই (জানুয়ারি মাস থেকে) আমরা খালগুলো পরিস্কারের কার্যক্রম হাতে নিয়ে থাকি। এ বছরের সে কার্যক্রম আজ হতে এখান থেকে আমরা শুরু করছি। কিন্তু খালের দখলদারিত্বের আগ্রাসন থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারছি না। দখল এবং ভূমিদস্যুদের যে আগ্রাসন, এসব কার্যক্রম আমাদেরকে ব্যাহত করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছি। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা তো যথাযথ জরিমানা করছি। কিন্তু তারপরও আসলে যারা ভূমিদস্য তারা নিবৃত্ত হয় না। যেখানেই যেটা অবৈধ দখল পাচ্ছি সেখানেই আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। দখলমুক্ত করছি, জরিমানা করছি।
দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে আমরা দাঁড়িয়ে আছি- এখানকার দখলদারিত্ব সম্পর্কে আমরা পত্রিকায় দেখেছিলাম। পত্রিকায় দেখার সাথে সাথেই আমরা কিন্তু পুরোটাই দখলমুক্ত করেছি। দখলমুক্ত করে খালের প্রবাহ আমরা নিশ্চিত করেছিলাম। কিন্তু আজকে যখন আবার মাত্র ছয় মাস পরে আমরা এখানে আসলাম, তখন দেখছি তারা এখানে স্থায়ীভাবে দখল করেছে। সুতরাং এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচেষ্টা, আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। এটাকে আবারও দখলমুক্ত করে খালের প্রবাহ যাতে ঠিক থাকে, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।
এরপরে মেয়র ৩৯ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে গণশৌচাগার, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে মেয়র সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠ, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে কিউলেক্স মশক নিধন কার্যক্রম এবং ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের মুগদা এলাকায় প্রান্তিক জনগণের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।