মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠ উপহার নারীবান্ধব মেট্রোরেল। যা নারীর ক্ষমতায়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মেট্রোরেলের নারীচালক, নারী যাত্রীদের জন্য পৃথক কম্পার্টমেন্ট, পৃথক ওয়াশরুম ও শিশুদের পরিচর্যায় ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা নারীদের জন্য এক বিশেষ ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ঢাকা বিভাগের নির্বাচিত পাঁচ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতার হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিভাগের পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন: অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরীতে ফরিদপুর জেলার শাহীদা বেগম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শরীয়তপুর জেলার মমতাজ বেগম, সফল জননী ক্যাটাগরীতে শরীয়তপুর জেলার লুতফন নেছা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা মাদারীপুর জেলার রাজিয়া সুলতানা এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সনু রানী দাস।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালে জয়িতা কার্যক্রমের সুচনা করেন। জয়িতার কার্যক্রম বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং নারীবান্ধব একটি বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। জয়িতাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৩৫টি বিভিন্ন ট্রেড্রে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ৬৪টি জেলায় ৪৮ হাজার নারীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এর মাধমে তৃণমূল নারীদেরকে প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে একসাথে কাজ করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে দুটি নতুন কমটি গঠন ও সকল কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন।