দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ট্রান্সজেন্ডারদের ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় এনে সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করবে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এ বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবে। এ লক্ষ্যে এনজিও প্রতিষ্ঠান ‘বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ঢাকা’র সঙ্গে বিসিসির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) আইসিটি বিভাগ জানায়, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি’র সভাকক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। অনুষ্ঠানে বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) রণজিৎ কুমার প্রধান অতিথি ছিলেন। বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদসহ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠিকে তথ্য প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করতে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধানগণ একমত পোষণ করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সমাজে বৈষম্য রোধ করতে দেশের নারী-পুরুষের পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের নিয়ে আসা প্রয়োজন। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২২-এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডার মানুষ সমাজের অংশ। তাই, তাদের বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করা যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনই ট্রান্সজেন্ডার-বান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি ও সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। তাই, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমাজের ট্রান্সজেন্ডারদের ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করছে বিসিসি কর্তৃপক্ষ।